কিন্তু তিনি নিজের নাম ও ঠিকানা স্পষ্টভাবে জানাতে পারেন নি। পরবর্তীতে, ওনার কাছে থাকা একটি ডায়রি উদ্ধার হয়। আর সেই ডায়েরি থেকেই কোনওভাবে তাঁর নাম উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে পুরো ঠিকানা জানা যায়নি। আর সেই নামের ওপর ভিত্তি করে গোসাবা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও অন্য কর্মীদের প্রচেষ্টায় উক্ত মহিলা কেবলমাত্র নিজের গ্রামের নাম বলতে সক্ষম হন। উক্ত গ্রামের নামের সূত্র ধরে গোসাবা থানা ওই এলাকার থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রচুর টাকার ক্ষতি, গঙ্গাসাগরে টন টন শুটকি পুড়ে ছাই! আগুনে ধ্বংস পুরো গোডাউন, তদন্তে নেমেছে প্রশাসন
তদন্তে জানা যায় ওই মহিলার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। পরে খোঁজখবর চালিয়ে সেখান থেকেই বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের সন্ধান পাওয়া যায়। যেহেতু ওই মহিলা অসুস্থ ছিলেন, তাই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গোসাবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ওই মহিলার নাতি গোসাবা থানায় উপস্থিত হয়ে নিজেদের পরিচয় দেন। এরপর হাসপাতাল থেকে ওই বৃদ্ধাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তাঁকে খুঁজে না পেয়ে সদস্যরা হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমরা দু’বছর পর গোসাবা থানার উদ্যোগে হারানো বাড়ি ও পরিবার খুঁজে পেলেন ওই মহিলা। থানার এই উদ্যোগে খুশি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।






