পঞ্চাশ বছরের এই বিশেষ মুহূর্তে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সাজান হয়েছিল উৎসবের আবহে। সকালেই গ্রামের রাস্তায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং গ্রামের বহু বাসিন্দা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রার মধ্য দিয়েই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সূচনা হয়। পরে পরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাতড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহেশ্বর মাণ্ডি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
advertisement
অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে ও চন্দনের ফোঁটা দিয়ে বরণ করে নেন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। গ্রামের শিল্পী ও অতিথি শিল্পীদের নিয়ে বাউল গান-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। নিজের সাবলীল সঞ্চালনা ও আন্তরিকতার ছোঁয়ায় পুরো অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করেন শিক্ষিকা বনানী বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থাও ছিল।
আরও পড়ুন-নভেম্বরেই ‘লটারি’, গজকেশরী রাজযোগে মিথুন-সহ ৫ রাশির সোনায় সোহাগা, ধন-সম্পদের ফোয়ারা, লাগবে জ্যাকপট
বিদ্যালয়ের পঞ্চাশ বছরের পথচলার কথা স্মরণ করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ১৯৭৬ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন থেকেই শুরু হয় যাত্রা। তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ভালবাসার মাধ্যমে পড়াশোনা করলে তারা ভবিষ্যতে ভাল জায়গায় পৌঁছাতে পারবে। সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে গ্রামবাসী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের একত্রে উপস্থিতি প্রমাণ করে যে মাইলিহীড় প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি গ্রামের আবেগ ও গর্বের প্রতীক।