আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণরত যাত্রীদের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বিএসএফ মহিলা রক্ষীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী একজন সন্দেহভাজন মহিলা যাত্রীকে থামায়। মহিলা জওয়ানরা হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর (এইচএইচএমডি) দিয়ে তাকে তল্লাশি করলে মেশিনটি মহিলা যাত্রীর শরীরে ধাতব পদার্থের উপস্থিতি নির্দেশ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেক ইডি দফতরে যাওয়ার আগেই সাইকেলে হাজির এক ব্যক্তি! কে তিনি? করলেন বিস্ফোরক দাবি
এর পরে, মহিলা জওয়ান যাত্রীকে মহিলা তল্লাশি রুমে নিয়ে যান আরও ভাল করে তল্লাশির জন্য। তল্লাশির সময় মহিলা যাত্রীর গোপনাঙ্গে ইনসুলেশন টেপ দিয়ে মোড়ানো সোনার পেস্টের একটি ড্রাম আকারের টুকরো পাওয়া যায়। এছাড়াও, তল্লাশির সময় মহিলা যাত্রীর লাগেজে আরও ২ টি ড্রাম আকারের সোনার পেস্ট পাওয়া যায়। জওয়ানরা মহিলা যাত্রীকে তার সোনাসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ‘এবার এগিয়ে যাওয়ার সময়’, বাবুল সুপ্রিয়র পোস্ট ঘিরে তুমুল জল্পনা! এল ইন্দ্রনীল প্রসঙ্গও
জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে পরিচয় দেয়। মহিলা যাত্রীটি মুম্বইয়ের বাসিন্দা৷ ওই মহিলা জানান, তিনি দুবাই ও কাতার থেকে কাপড়ের ব্যবসা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে তার ব্যবসা চলছে। ওই মহিলা জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় বেনাপোলের বাসিন্দা আরশাদ নামে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরশাদ ওই নারীকে ইনসুলেশন টেপে মোড়ানো ড্রামের আকারে তিনটি সোনার পেস্ট নিতে বলেন। এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য তিনি মহিলাকে ১০,০০০/- টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। মহিলা এই কাজে রাজি হয়ে সোনা লুকিয়ে রাখেন। ভারতে আসার পর পেট্রাপোলের এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে এই সোনা তুলে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ভারতে পৌঁছে বিএসএফ তল্লাশির জন্য জওয়ানরা সোনাটি শনাক্ত করে বাজেয়াপ্ত করে।