বক্সিংয়ে মণিপুরের মেরি কম। অসমের অ্যাথলেটিক্স হিমা দাস বা ত্রিপুরার দীপা কর্মকার। পান্ডববর্জিত এলাকা থেকে বিশ্ব ক্রীড়া মানচিত্রে এঁরা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। হিমাদের জেেদর কাছে হার মেনেছে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা। পুরুলিয়ার বলরামপুর, ঝালদা বা বাঘমুন্ডি। অজ গাঁয়ের মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল মাঠেও চমকে দিচ্ছে। কন্যাশ্রীদের পায়ে ফুটবল পেলে আর দেখে কে।
advertisement
পুরুলিয়ার কন্যাশ্রীরা সরকারি স্কুল থেকে ফুটবল টিম বানিয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। তেরোই অগাস্ট মানভূম ক্রীড়া সংস্থার মাঠে কন্যাশ্রী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়। জেলার প্রতিটি ব্লক স্তর থেকে খেলে আসা কাশীপুর ও জয়পুর দুই দলের ফাইনাল খেলা দেখে অবাক জেলা ও কলকাতার ক্রীড়া প্রতিনিধিরা। টাইব্রেকারে জিতে যায় জয়পুর বিডি হাইস্কুল। বাংলার কন্যাশ্রীরা একদিন পথ দেখাবে, মনে করছেন ক্রীড়া প্রেমিকরা। কন্যাশ্রীদের যারা দিশা দেখাবেন সেই কোচেদেরও ঠিকমতো ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন। তবেই কন্যাশ্রীরা বিশ্ব মাতাবে। মনে করছেন ফুটবল প্রশিক্ষক কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার।
পায়ে ফুটবল। কন্যাশ্রীদের মনে বল। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মেয়েরা। শিক্ষকরা সমানে উৎসাহ যুগিয়েছে। প্রতি বছরই পুরুলিয়াতে কন্যাশ্রী ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে এখন বিশ্বের গর্ব। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্তরে অনূর্ধ্ব ঊনিশ মহিলা ফুটবলে সুযোগ পেয়েছে কন্যাশ্রীরা।
সদ্য সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের অনূর্ধ্ব মহিলা ফুটবল দল। ভূমিকন্যাদের আশা হয়তো একদিন তাদেরই কেউ চ্যাম্পিয়ন দলে থাকবে। সর্বোচ্চ স্তরে যেতে হলে কন্যাশ্রীদের নিজেদের ছাপিয়ে যেতে হবেই।