শুক্রবার টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিল রিঙ্কি হীরা। চেনা পরিচিত একজনের ফোন পেয়ে নেউলিয়ায় বাড়ির যাওয়ার বদলে বিষ্ণুপুরে চলে যায় চাকদহের বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আর সেখানেই জীবনের চরমতম অপমানের মুখোমুখি হয় বছর পনেরর মেয়েটি।
অভিযোগ, কার্তিক বিশ্বাস তার এক বন্ধুকে দিয়ে রিঙ্কিকে ফোন করে বিষ্ণুপুরে ডেকে পাঠায়। সেখানে চাষের জমির ধারে একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে রিঙ্কিকে সকলে মিলে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে দিদিকে সব কথা জানায় রিঙ্কি। এরপর ঘরে ঢুকে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
advertisement
প্রথমে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। পরে কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রীকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় আর জি করে। সেখানেই মৃত্যু হয় রিঙ্কির। কার্তিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাকদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
পরিবারের দাবি, একটা সময়ে কার্তিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রিঙ্কির। পরে নানা জটিলতায় শেষ হয়ে যায় সেই সম্পর্ক। তারপরও রিঙ্কিকে উত্তক্ত করত কার্তিক । সুবিধা করতে না পেরে প্রতিশোধ নিতেই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ ছাত্রীর পরিবারের।
ঘটনার পর থেকে কার্তিক ও তার পরিবার পলাতক। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কার্তিক বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙচুর করে। অবরোধ করা হয় চাকদহ-বনগাঁ রোড। কার্তিকের গ্রেফতারের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।