হুগলিতে ছিল জমিদার বাড়ি। ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্রে মেদিনীপুরে আসেন পরিবারের এক সদস্য দ্বারিকানাথ ঘোষ। মেদিনীপুরে এসে বসতি স্থাপন করেন, শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। প্রথা মেনে প্রায় ৩০০ বছর ধরে পুজো হয় ঘোষ পরিবারে। কালের নিয়মে, প্রতিবছর এই পুজোতে ভিড় করেন এলাকার মানুষজন। একসঙ্গে মেতে উঠে পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ আঙুল-নখে ফুটে ওঠে মারণ ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ! সাধারণ হলেও কোন পরিবর্তন বিপদের ইঙ্গিত? জানুন
advertisement
দুর্গা, কালীর পর এবার জেলায় জেলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুরানো ঐতিহ্যবাহী পুজো হল এই ঘোষ বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো।মূলত মেদিনীপুর শহরের কাঁথকালি এলাকায় রয়েছে এই ঘোষ বাড়ি। ঘোষ পরিবারের সদস্য দ্বারিকানাথ ঘোষ প্রথম দুর্গাপুজোর আদলেই শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। সেই থেকেই এলাকায় ঘোষ বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো পরিচিতি হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ আচমকা প্রচুর বাড়ল বন্দে ভারতের টিকিটের দাম! ট্রেনে চড়লেই গুনতে হবে মোটা টাকা! ক্ষোভে ফুঁসছে যাত্রীরা
প্রায় ৩০০ বছর ধরে একাধিক রীতি ও নিয়ম মেনে পুজো হয় এখানে। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল যতক্ষণ না দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয়, ততক্ষণ প্রতিমা গড়া হয় না। নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পরেই তার মাটি নিয়ে এসেই শুরু হয় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। এই পুজোর আরেকটি বিশেষত্ব হল এই পুজোয় যে ধূপ জ্বালান হয়, তা ১৬ রকম উপকরণ দিয়ে ধূপ তৈরি করেন বাড়ির মেয়েরা। বাইরে থেকে কোনওরকম ধূপ কেনা হয় না পুজোর জন্য। পুজোয় প্রতিমা শুরু হওয়া থেকে বিসর্জন পর্যন্ত স্পর্শ করা অধিকার থাকে না বাড়ির পুরুষদের। তবে ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে মোড়া এই ঘোষ পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এই পুজোয় মেতে ওঠেন এলাকাবাসী।





