দিন কয়েক আগে হড়পা বানের কারণে বন্যা প্লাবিত হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, দাসপুর সহ একাধিক এলাকা। ডুবে যায় ঘরবাড়ি, বেশ কয়েক লক্ষ মানুষকে আনা হয় নিরাপদ আশ্রয়ে। শুধু বাড়িঘর ডুবে যাওয়া নয়, ঘাটাল মহকুমায় থাকায় একাধিক স্কুল জলের তলায়। বর্ষার সময় থেকে বন্ধ হয়ে যায় পঠন-পাঠন। বন্যার কারণে এখনও বন্ধ একাধিক স্কুল। কারণ স্কুলের সামনে এখনও জমে রয়েছে জল ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত কিংবা পড়াশোনা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বেশকিছু জায়গা থেকে জল নামলেও এখনও নিচু এলাকা জলমগ্ন, ভরসা ডিঙ্গি বা নৌকো। স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ে খোলার কোনও অবকাশ নেই বন্যা প্লাবিত ঘাটালে।
advertisement
আরও পড়ুন: নৌকার উপরে আস্ত একটা সেতু! আর ছুটতে হবে না ঘাটাল, এবার হুবহু একই ভাসাপুল চালু হল আরও এক জায়গায়
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, দাসপুরের প্রায় শতাধিক বিদ্যালয় জলমগ্ন হয়েছে। উঁচু এলাকা থেকে জল নামলেও একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা এবং পৌর এলাকার বিভিন্ন স্কুল জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বন্যার কারণে বন্ধ বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। এখনও বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের মধ্য দিয়ে বইছে স্রোত। একাধিক জায়গায় বাড়ি ঘরেও এখনও জল জমে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয় খোলা এবং পঠন-পাঠন চালু করা সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক আধিকারিকেরা এ নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দ্রুত এই পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ঘাটাল। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে আবার কবে হৈ হুল্লোড়ে ভরে থাকবে বিদ্যালয়? কবে বাড়ির ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে যাবে সেই দিন গুনছে অভিভাবকেরা। স্কুল যাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট পড়ুয়ারা।
রঞ্জন চন্দ