গুসকরার রাস্তায় ছোট্ট এক চায়ের দোকান চালান তিনি।
প্রতিদিন সেই দোকান থেকে কয়েক কাপ চা বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই চলে সংসার।কিন্তু সংসার যতই কঠিন হোক, তিনি থেমে থাকেন না। নিজের উপার্জনের টাকাতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অসহায় মানুষদের দিকে। কারও ক্ষুধার্ত মুখে খাবার তুলে দেন, কখনও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর পাশে দাঁড়ান, আবার কখনও দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করেন। তাঁর চায়ের দোকানে অসহায়দের জন্য সবসময় ফ্রি থাকে চা-বিস্কুট-কেক। তবে এবারের উদ্যোগ একেবারেই অন্যরকম। দুর্গাপুজোর আগে তিনি শুরু করেছেন বিনামূল্যে শাড়ি বিতরণ।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
দোকানে এলে চায়ের সঙ্গে দুঃস্থ মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন শাড়ি। যাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, যাঁরা নতুন জামাকাপড় কেনার সামর্থ্য রাখেন না, শুধু তাঁদের জন্যই এই বিশেষ উপহার। পাঞ্জাব শেখ বলেন, “অনেকেরই নতুন জামাকাপড় কেনার সামর্থ্য থাকে না। সামনেই আমাদের বাঙালির সবথেকে বড় পুজো দুর্গাপুজো, তাই কিছু দুঃস্থ মানুষকে সাহায্য করে আমি পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।”
আরও পড়ুনPujo Bhog @Rs 1: মাত্র ১ টাকায় বাড়ি বসে খেতে পাবেন দুর্গাপুজোর ভোগ! অনলাইন বুকিং শুরু মহালয়া থেকে
ভাবুন তো, সংসার নিজেরই ভাল করে চলে না, তবুও অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর কথা ভাবেন পাঞ্জাব শেখ। এই মানবিকতাই তাঁকে আলাদা করে তুলেছে। তাই তো দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ আজ তাঁকে সাহায্য করছেন যাতে তিনি আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন।আজকের দিনে যেখানে অনেকেই শুধু নিজের স্বার্থের দিকেই তাকিয়ে থাকেন, সেখানে পাঞ্জাব শেখ দেখিয়ে দিলেন মানবিকতার আসল অর্থ কী। তাঁর এই উদ্যোগ সমাজকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে অল্প আয় থেকেও যদি কেউ চাই, তবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, বড়লোক হওয়া মানেই বড় মনের মানুষ হওয়া নয়। বরং বড় মন থাকলেই মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব।