পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাতে আগুনে ভস্মীভূত হয় পাশাপাশি অবস্থিত চারটি বাড়ি। ব্যাপক ক্ষতি হয় অইজুল শেখের বাড়িতে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী সরিফা বিবির। গুরুতর জখম হন তাঁর মেয়ে আজিকা খাতুন। তাঁকে প্রথমে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বহরমপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বৃদ্ধার মাথায় সজোরে কুড়ুলের কোপ! ঝালদার ঘাতক কে জানেন?
এদিকে গ্যাস বিস্ফোরণের এই ঘটনায় আগুনে পুড়ে ৭ টি ছাগল, ৩ টি গরু ও ১২ টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসে হাজির হন ভগবানগোলার এসডিপিও বিমান হালদার ও লালগোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অতনু দাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বালতি বালতি জল ঢালেন পুলিশকর্মীরা। দমকলের আগে তাঁরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় জেলা পরিষদ প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান সুমন, লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ইসমাইল হক’রা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাশে দাঁড়ানোর ও সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপর্যয়ের মাত্রা দেখে রীতিমত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন গ্রামবাসীরা।