তবে এই মনোরম সৌন্দর্যের পাশাপাশি রয়েছে সতর্কবার্তাও। রাস্তার ধারে চোখে পড়বে একটি বড় পোস্টার “সাবধান! গাড়ি আস্তে চালান, হাতি পারাপারের রাস্তা।” প্রথমে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, সত্যিই কি এই রাস্তায় হাতি আসে? স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতেই মিলল তার সত্যতা। আশপাশের গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায়ই রাতে হাতি দেখা যায় এই বনাঞ্চলের মধ্যে। কখনও দল বেঁধে, কখনও একাকী হাতি রাস্তা পার হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : পুরনোর মায়া ত্যাগ করে নিতে হবে নতুন পদ্ধতি, পান চাষে ঘরে আসবে ডবল লাভ! উপায় বললেন বিশেষজ্ঞ
বন দফতরের কর্মীরাও জানিয়েছেন, এই এলাকা মূলত হাতির পুরনো চলাচলের করিডর বা ‘এলিফ্যান্ট করিডর’-এর অংশ। প্রতিবছর শীতকাল ঘনিয়ে এলে ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া দিক থেকে হাতির দল এই জঙ্গল পেরিয়ে যায়। জঙ্গল ঘেরা হলেও এই রাস্তায় যথেষ্ট লোকসমাগম রয়েছে। প্রতিদিনই চলে ছোট-বড় যানবাহন, বাইক, ট্রাক, এমনকি বাসও। রাস্তার দু’ধারে রয়েছে কয়েকটি দোকানপাট, চায়ের দোকান, ধাবা। পথ চলতি মানুষদের অনেকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকে তাঁরা গাড়ি আস্তে চালান, কারণ হঠাৎই কখনও কখনও হাতির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গড়বেতার এক বাসিন্দা বলেন, সত্যিই এই রাস্তা দিয়ে হাতি চলাচল করে। তিনিও দেখেছেন। সবুজে ঘেরা শান্তির রাস্তা, তবুও প্রাকৃতিক নিয়মে সতর্কতা জরুরি। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সবুজে ঘেরা এই অংশটি এখন অনেকের কাছে প্রিয় ড্রাইভিং স্পট। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এসে, ঘন সবুজে মিশে থাকা এই রাস্তা যেন প্রকৃতির এক মুক্ত প্রান্তর। কিন্তু প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের মাঝেই লুকিয়ে আছে এক সতর্ক বার্তা। মানুষ ও বন্যপ্রাণী, দু’জনেরই পথ এক জায়গায় মিশেছে।






