TRENDING:

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মার জল! ফারাক্কা, কাটিগঙ্গা নিয়ে আরও চিন্তা! এরই মাঝে প্রশাসনের বড় বার্তা

Last Updated:

মুর্শিদাবাদের সেকেন্দ্রা থেকে গিরিয়া যাওয়ার যে কাটিগঙ্গার উপর একটিমাত্র বাঁশের ফরাস সেটির ওপর দিয়ে জল বইছে খুব ভয় করছে পার হতে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রঘুনাথগঞ্জ, তন্ময় মন্ডল: প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্কবার্তায় ফরাক্কা ব্যারেজে গঙ্গা জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে, যার ফলে যেকোনও সময় জলমগ্ন হতে পারে ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুতি, সহ রঘুনাথগঞ্জের একাধিক এলাকা। আতঙ্কে ঘুম হারিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যেই বাস করছেন রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement

রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বড় শিমুল, গিরিয়া, সেকেন্দ্রা, মিঠুপুর অঞ্চলের পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ পদ্মা নদীর জল বাড়ার কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলা ফেরিঘাট থেকে গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলা টোলা সহ একাধিক গ্রাম যাওয়ার কাটি গঙ্গার ওপর একমাত্র বাঁশের ফরাসের ওপর দিয়ে জল বইতে থাকে। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলস্তর বৃদ্ধিও হচ্ছে এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

advertisement

আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাঁধ, হু হু করে জল ঢুকল এলাকায়! ব্রাহ্মণী-দ্বারকার জলে মুর্শিদাবাদে লাটে সবকিছু, দেখুন কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি

View More

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুর্শিদাবাদের সেকেন্দ্রা থেকে গিরিয়া যাওয়ার যে কাটিগঙ্গার উপর একটিমাত্র বাঁশের ফরাস সেটির ওপর দিয়ে জল বইছে খুব ভয় করছে পার হতে। যে কোনও সময় ভেঙে পড়ে যেতে পারে অথবা ভেসে যেতে পারে ফরাসটি, খুব ভয়ে ভয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। প্রত্যেকদিন এই ফরাসের উপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। যদিও অনেকটা ঘুরপথে অ্যাফ্লেক্স বাদ দিয়ে যাতায়াতের অপর আরেকটি পথ থাকলেও সেটি অনেকটাই বেশি রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। সেই কারণে সাধারণ মানুষের সুবিধের প্রচলিত রাস্তা আমাদের এই বাঁশের ফরাস। জলস্তর যেভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাতে হয়তো এটা দিয়ে আর যাতায়াত করা সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ আছে। এই ফরাসটি বন্ধ হয়ে গেলে চরম সমস্যায় পড়তে হবে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের। গ্রামবাসীদের প্রতিনিয়ত এই বাঁশের খরাস এর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। নিত্যদিনের যে কোন কাজ থেকে চরম সমস্যায় পড়বে এলাকার বাসিন্দারা।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর বিডিও দেবত্তম সরকার জানান, “প্রতিনিয়ত আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। এলাকার মানুষজনদের প্রতিনিয়ত সচেতন করছি। কোনওরকম সমস্যা হলেই ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছি। পদ্মার জলস্তর বাড়ছে যদিও আমার এলাকায় বাড়িঘর ভেঙে পড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। কিছু এলাকায় জল বাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে। এলাকায় বিদ্যালয় ত্রাণ শিবির প্রস্তুত আছে। প্রয়োজনে বন্যা দুর্গত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। ফেরিঘাটটি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আছে। জেলা পরিষদ থেকেই এই ঘাটটির ডাক করা হয়। বাঁশের ফরাসের ওপর দিয়ে জল বইছে। এই সময় সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। সেই কারণে জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষজনদের আমরা ওটি দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করছি। অপর যে ঘুরতি পথ আছে সেই পথ দিয়ে  যাতায়াতের আবেদন রাখছি। কারণ জলের যে স্রোত তাতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক প্রশাসন সমস্ত ভাবে প্রস্তুত সাধারণ মানুষের সহযোগিতায়।”

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মার জল! ফারাক্কা, কাটিগঙ্গা নিয়ে আরও চিন্তা! এরই মাঝে প্রশাসনের বড় বার্তা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল