পরিবার নিয়ে কোথায় দাঁড়াবেন! নেই জায়গা, জমি- কান্না ভেজা গলায় চোখের জল মুছতে মুছতে উৎকণ্ঠার কথা বলছেন বন্দনা দাস। চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসার, আশ্রয় হারিয়ে ঠিকানা খুঁজছেন নয়ন মন্ডল, বন্দনা দাসরা। ভাঙনের অভিশাপ! ভিটে মাটি, বসত বাড়ি হারানোর ভয় গ্রাস করেছে তাদের। চারিদিকে কান্না আর হাহাকার। ঘর বাড়ির ইট ভাঙার শব্দে শোকের ছবি সামশেরগঞ্জে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঘ সেজে স্কুলে পড়ুয়ারা…! আচমকা কেন, পিছনে রয়েছে বিরাট রহস্য, জানলে আপনিও কুর্নিশ জানাবেন
মুর্শিদাবাদের ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা নয়ন মন্ডল তার দাবি, যে যেমন পেড়েছে তাড়াহুড়ো করে ঘরের মালপত্র সরানোর চেষ্টা করেছেন এখন। অনেকে আবার ঘরের আসবাবপত্র রক্ষা করতেও পারবেন কিনা জানা নেই। সবটাই তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে নদীগর্ভে। আতঙ্কে দিশেহারা এলাকাবাসী। ভাঙন রোধের কাজ হলেও গঙ্গা সবকিছু গিলে খাচ্ছে বলেই দাবি ভাঙন কবলিত দুর্গতদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নতুন শিবপুরের বাসিন্দারা আতঙ্কের সুরে বলেন, ‘সকালে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে দেখি প্রচণ্ড স্রোতে নদীতে নৌকা ঘুরপাক খাচ্ছে। ঘরে এসে সকালের খাবার করব ভাবলাম। দেখি হুড়মুড় করে পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। বাচ্চাদের কোনও মতে বাঁচালাম। কোনও রকমে জিনিসপত্র ঘর থেকে বারই করতে শুরু করেছি। কোথায় থাকব তা আর জানি না। তবে এখন সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি। শ্বশুরের ভিটেমাটি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এখন ভাঙন কবলিত দুর্গতদের।
বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় মাটির বস্তা ফেলে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণেই এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।
তন্ময় মন্ডল