একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা অমিত কুমার কুণ্ডু ৷ সম্প্রতি তিনি অবসর নিয়েছেন ৷ অনলাইনে তিনি ইনভেস্টমেন্টের কিছু স্কিম পান ৷ পর্যায়ক্রমে তিনি ভাল রিটার্নের আশায় তার জমানো টাকা ইনভেস্ট করেন ৷ তারপর যখন তিনি টাকা তোলার চেষ্টা করেন তখন বুঝতে পারেন যে প্রতারিত হয়েছেন ৷ সঙ্গেসঙ্গেই তিনি বারুইপুর সাইবার ক্রাইম থানায় ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ দায়ের করেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: Sontu-র পর এবার চিকু, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল আরেক সেলিব্রিটি কুকুর! কী হয়েছিল চিকুর?
ঘটনার তদন্তে নেমে ব্যাঙ্কে ৫৬ লক্ষ টাকা ফ্রিজ করে তা উদ্ধার করে পুলিশ৷ পরবর্তীকালে তদন্ত পর্যায়ক্রমে চালিয়ে গিয়ে সোর্স ও বিভিন্ন তথ্যের উপর নির্ভর করে গুজরাতে একটি প্রতারণা চক্রের হদিশ পান৷ এই প্রতারণা চক্রের মূল কিংপিনের খোঁজ মেলে৷ যিনি আপাতত একটি সাইবার ক্রাইম প্রতারণার মামলায় পুণে পুলিশের হেফাজতে আছেন৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তদন্ত চালিয়ে বাকি টাকা উদ্ধার করে পুলিশ৷
বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি বলেন, অনলাইনে ইনভেস্টমেন্ট করার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে৷ ভুলভাল জায়গায় ইনভেস্ট করা উচিত নয়৷ তাছাড়া অতিরিক্ত রিটার্নের লোভে পড়ে ইনভেস্ট করলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে৷ এছাড়া ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়েও তিনি সবাইকে সচেতন করেন৷ টাকা উদ্ধার হওয়ায় খুশি অমিত কুমার কুণ্ডু৷ তিনি বলেন, পুলিশের তৎপরতায় এই টাকা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে৷