জন্মসূত্রে তমলুকের বাসিন্দা। অভিষেক তুঙ্গের এই কাহিনী প্রেরণা যোগাবে অন্যদের। অভিষেক তুঙ্গ পেশায় বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্মী। কর্মসূত্রে থাকেন মহানগর কলকাতায়। অবসর সময়ে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের নেশা রয়েছে।
সেই মতো কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে নানা ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস আয়োজন করেন। খুলেছেন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের একটি সংস্থা। আর সেই সংস্থার উদ্যোগেই কখনও দিঘা থেকে দার্জিলিং মাত্র ৪৮ ঘন্টায় সাইক্লিং করে পৌঁছে যাওয়া। আবার কখনও পাহাড়-পর্বত এর শৃঙ্গ জয় করতে মাউন্টিং করা শহর নানা ধরনের অ্যাক্টিভিটি করতে দেখা যায়। তাদেরই এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস সংস্থা খোলা নদীতে সাঁতার আয়োজন করে।
advertisement
আরও পড়ুন- কৃষ্ণনগরের কোথায় সবথেকে কম এবং কোথায় সবচেয়ে দামি পুতুল? সেরা পুতুলের হদিস জেনে নিন
নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে সাঁতারে পার হওয়ার চ্যালেঞ্জ নেন তমলুকের বাসিন্দা অভিষেক তুঙ্গ। তিনি এই বিষয়ে বলেন, ‘তমলুকের বাসিন্দা হওয়া সূত্রেই ছোট থেকেই রূপনারায়ণ নদের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে। তবে কখনও ভাবিনি রূপনারায়ণ নদ সাঁতারে পার হব।
তমলুকের কাছে রূপনারায়ণ নদের একপাড় থেকে অন্যপারের দূরত্ব প্রায় দুকিলোমিটারও বেশি। আরও তিনজন সাঁতার নদী পারাপারে অংশগ্রহণ করেন। স্রোতের মধ্যে দু কিলোমিটার সাঁতারে নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে পারাপারটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং ছিল।
রূপনারায়ণ নদের মতো বড় নদী সাঁতরে পারাপার করাটা তমলুক-সহ জেলাবাসীর কাছে এখন চর্চার বিষয় হয়েছে। প্রথাগত সাঁতারের প্রশিক্ষণ না থাকলেও মনের জোরে প্রায় দু কিলোমিটারের বেশি নদী সাঁতারে পারাপার করা সম্ভব, তা করে দেখিয়েছেন অভিষেক-সহ তাঁর বন্ধুরা।
সৈকত শী