TRENDING:

Khudiram Bose: বাঁকুড়ার এই জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম, বানানো হত মাটির বোমা, ঘুরে দেখুন

Last Updated:

বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৮৫ কিমি দূরে কিছুটা শাল কিছুটা সেগুনের ছায়ায় ঢাকা গভীর অরন্য পেরিয়ে গেলেই ছেঁন্দাপাথর। আর তার এককোনায় একাকী পড়ে আছে শহীদ ক্ষুদিরামের এক অন্তরালের স্থান।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ছেঁদা পাথর, বাঁকুড়া: একটা সময় জঙ্গল মহল মানেই ছিল মুখ আর মুখোশের খেলা,জঙ্গল মহল মানেই গভীর অরণ্যে নিয়ে গামছা ঢাকা মানুষ গুলোর চোখ রাঙানি। প্রত্যেকটা মানুষ বাঁচত, আজ আছি তো কাল নেই অস্তিত্বে। কিন্তু প্রান্তিক এই দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে মানুষের দৃষ্টির অগোচরে যে এক ইতিহাস লুকিয়ে ছিল তা হয়ত অনেকেরই অজানা। এই জঙ্গলমহল একটা সময় বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটা ক্ষেত্র ছিল। এখানে চলত স্বদেশীদের অবাধ আনাগোনা,চলত বৃটিশদের বিতাড়িত করার বিভিন্ন পরিকল্পনা।
advertisement

বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৮৫ কিমি দূরে কিছুটা শাল, সেগুন ছায়া গভীর অরন্য পেরিয়ে গেলেই ছেঁন্দাপাথর আর তার এককোনায় একাকী পড়ে আছে শহীদ ক্ষুদিরামের এক অন্তরালের স্থান।

অম্বিকানগরের রাজা রাইচরন ধবলদেবের সহযোগিতায় শহীদ ক্ষুদিরাম,বারিন ঘোষ,নরেন গোঁসাই ওনারা এই দুর্গম অরণ্য ঘেরা ছেঁন্দাপাথরকে বেছে নিয়েছিলেন বোমা বানান,অস্ত্র প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যকলাপের জন্য।

advertisement

“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”

View More

বনমহল থেকে একটু ছাড়িয়ে গেলেই ঝাড়খন্ড সীমানা সেই কারণে অবাধ যাওয়া আসা চলত এখানে, পরিচালনা করতে সুবিধে হত ভিন রাজ্যে বৈপ্লবিক কার্যকলাপ। তাই বিপ্লবীরা বেছে নেন এই স্থান। এই স্থানে একটি মাটির দেওয়াল দেওয়া ঘর ছিল যার মধ্যে একটি গুহা অবস্থিত ছিল।

advertisement

কথিত আছে নাকি এই গুহা অনেক দূর অবধি বিস্তৃত ছিল। খুব সহজে বীর এই সন্তানেরা অন্তরালে প্রবেশ করতে পারতেন, নিজেদেরকে বৃটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে ।এই ক্ষেত্র থেকে বিপ্লবীরা অভিনব পদ্ধতিতে মাটির বোমা বানাতেন। যার উপরের আবরণ মাটি এবং ভেতরে থাকত বারুদ। সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হত এই বোমা। এখন ছেঁন্দাপাথরের এই জায়গা বর্তমান সরকারের হস্তক্ষেপে অনেকটা অভিযোজিত মাটির গুহা এখন ইঁটে বাঁধানো এক কুয়োর রুপ পেয়েছে,।

advertisement

আরও পড়ুন Success Story: অনুপ্রেরণার অপর নাম জগন্নাথ! প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পা দিয়ে লিখেই কলেজে ভর্তির আবেদন

মাটির দেওয়াল এখন পাকা ইঁটের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা। সে যাই হোক না কেন ইতিহাস তো কখনও মিথ্যা বলে না বলুন? ক্ষুদিরাম, বারিন ঘোষেরা চলে গেলেও তাদের উত্তরসূরী হয়ে স্বাধীন দেশে বাস করছি আমরা। এই দুর্গম ক্ষেত্র যদি আরেকটু প্রাণ পায় তাহলে আমজনতার জন্য ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দনের এক ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়াতেই পারে জঙ্গলে ঘেরা এই ছেঁন্দাপাথর।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

নীলাঞ্জন বন্দোপাধ্যায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Khudiram Bose: বাঁকুড়ার এই জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম, বানানো হত মাটির বোমা, ঘুরে দেখুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল