ভারতবর্ষের স্বাধীনতা কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বটুকেশ্বর দত্তকে সেরকম কোনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই একটি কমিটি গঠন করে বর্তমানে সবটা দেখাশোনা করেন। বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির তরফে বছরে একবার মেলার আয়োজনও করা হয়। সেরকমই সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ইতিহাস মেলা। বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সম্পাদক মধুসূদন চন্দ্র জানিয়েছেন, “বর্ধমান স্টেশন না হলেও যদি বোঁয়াইচন্ডী স্টেশন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের নামে হয়, তাহলে আমাদের মনে হয় বটুকেশ্বর দত্তকে উপযুক্ত সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। জেলাশাসক বলে গিয়েছেন এই বিষয়ে আমরা আবেদন জমা দেব।”
advertisement
বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িটি সংরক্ষণ করা হলেও নগেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িটি এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেই পাতালঘর এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক আয়েশা রানি জানিয়েছেন, “খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে। আমি এখানে এসে নিজেকে গর্বিত মনে করছি, এইগুলো সংরক্ষণ করা এবং নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার দরকার আছে। প্রশাসন এইগুলো নিয়ে কাজ করবে।”
আরও পড়ুন : এলাচগুঁড়ো, ঘি, কাজুবাদাম, কিশমিশের পাকে দুধ জ্বাল দিয়ে বাড়িতে সহজেই বানান সাবুর পায়েস, রইল চটজলদি রেসিপি
ওই বাড়ির পাতালঘরেই টানা ১৫ দিন আত্মগোপন করেছিলেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ও বিপ্লবী ভগৎ সিং। বটুকেশ্বর দত্তের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে সরকারের সহযোগিতায় বটুকেশ্বর দত্তের বাড়িতেই করা হয়েছে একটি পাকা বাড়ি, পর্যটকদের জন্য ওই বাড়িটি তৈরি হয়েছে। বাড়িটির ভিতরে করা হচ্ছে বটুকেশ্বর দত্তের মিউজিয়াম। আরও বিভিন্ন রকম ভাবে সাজিয়ে তোলার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত ইতিহাস মেলা। মেলাতে থাকছে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। বর্তমানে আনন্দে মেতে উঠেছেন সকল গ্রামবাসী।