জেলা আইনি কর্তৃপক্ষের আইনি অধিকার মিত্র রয়েছে প্রতিটি ব্লকে। যারা সহযোগিতা করবেন বিভিন্ন আইনি জটিলতার ক্ষেত্রে। সাধারণ মানুষকে আইনি বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে এবং আইনের জটিলতা খুব সহজে সমাধান করতে প্রতিটি ব্লকে ব্লকে রয়েছে অধিকার মিত্র। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অধীনে এই অধিকার মিত্র যারা বিভিন্ন সহযোগিতা করে। এছাড়াও বিভিন্ন আদালতে রয়েছে এই পরিষেবা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আউশগ্রামে ডবল ধামাকা! শুরু ফুটবল টুর্নামেন্ট ও মিলন মেলা, শেষ দিনে আসছেন দেব-নুসরত
কখনও অভিযোগ, কখনও সমাধান করতে গেলে এই অধিকার মিত্ররা সহযোগিতা করেন। যেখানে খরচ একদম শূন্য। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার এক অধিকার মিত্রের সহযোগিতায় প্রায় ৯০% বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবক পেলেন বাবার মৃত্যুর পর পেনশন। স্নেহাংশুর বাবা পঙ্কজ কুমার দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণের পরে নিয়মিত পেনশান পেতেন কিন্তু বার্ধক্য জনিত কারণে দুই বছর আগে মৃত্যু হয়েছে, তবে পঙ্কজ বাবুর স্ত্রীরও মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। সরকারি নিয়ম মোতাবেক, স্ত্রীর মৃত্যু আগে হলে পরিবারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলে পায় পেনশনের সুবিধা। তবে বেশ কয়েক বছর এই সুবিধা পাচ্ছিলেন না বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই যুবক।
আরও পড়ুনঃ জঞ্জালমুক্ত বারাসাত গড়ার শপথ! সাফাই কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় নামলেন পৌরপ্রধান, ভোল বদলাবে সদর শহরের
ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া ব্লকের চোরচিতা গ্রামের স্নেহাংশু দে বছর সাতেক আগের বাইক দুর্ঘটনার জেরে ৯০% শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম হয়ে পড়েন। স্নেহাংশুর একমাত্র ভরসা ছিলেন বাবা পঙ্কজ কুমার দে। বাবার মৃত্যুর পরে স্নেহাংশু নানান দিক দিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। স্নেহাংশু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি হওয়ার সুবাদে ফ্যমিলি পেনশান পাওয়ার উত্তরাধিকার হওয়া সত্ত্বেও শারীরিক অসুবিধার জন্য তিনি আবেদন করতে পারেননি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপর বেলিয়াবেড়া ব্লকের “অধিকার মিত্র” রীতা দাস দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্নেহাংশু। “অধিকার মিত্র” রীতা দাস দত্ত স্নেহাংশুর বাড়িতে গিয়ে সমস্ত সমস্যার কথা শোনেন। অধিকার মিত্রের মাধ্যমে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিবের কাছে সাহায্যের জন্য লিখিত আবেদন জানান স্নেহাংশু। এরপরই স্নেহাংশুর অ্যাকাউন্টে আসে বাবার পেনশনেরের ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭০১ টাকা।
স্নেহাংশ বলেন, ‘জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নানান সমস্যার সমাধান দেখে আমিও লিখিত আবেদন করি , বাড়িতে বসেই বিনামূল্যে আমি এই পরিষেবা পেলাম।’






