ঘটনার কথা শুনে হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্য চিত্রক প্রামানিক খবর দেন ওই এলাকার কাছেই ছয়ানি গ্রামের পরিবেশ কর্মী পলাশ প্রধানকেও। তারপর শিয়ালটির খোঁজ শুরু হয়। শিয়ালটিকে নদীর ধারে সেভাবে আর দেখা যাচ্ছিল না। পলাশ প্রধান তাঁর বন্ধুদের নিয়ে শিয়ালটির খোঁজ করতে নদী সংলগ্ন জলাভূমি ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। অবশেষে সাতদিন পর শিয়ালটি ক্লান্ত শরীরে নদীর ধার থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পেড়িয়ে ছয়ানি গ্রামে দেখা যায়। তাই পরিবেশকর্মী পলাশ ঝুঁকি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন শেয়ালটিকে ধরতে। সফল হন তাঁরা।
advertisement
একটি নির্মীয়মান গ্যারেজের মধ্যে সেটিকে রেখে খবর দেন চিত্রককে। তড়িঘড়ি রাতেই বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী চিত্রক, সুমন্ত দাস এবং বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সবশেষে শিয়ালটিকে ধরে প্লাস্টিকের কৌটো খোলা হয়।
দীর্ঘদিন জল এবং খাবার না খেয়ে শিয়ালটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সেটিকে জল এবং খাবার দেওয়া হয়। খাবার দেওয়ার কিছুক্ষণ পর কিছুটা স্বাভাবিক হলে সেটিকে দামোদর নদীর তীরেই পরিবেশে মুক্ত করে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামাণিক বলেন, “পলাশ প্রধান অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে শিয়ালটিকে ধরেছেন। সত্যিই তা প্রশংনীয়। আর কিছুদিন এভাবে থাকলে প্রাণীটির মৃত্যু হত।”
রাকেশ মাইতি