বর্তমানে সবই অতীত। কারখানা বন্ধ হওয়ার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জন্য বছরে ১০ হাজার টাকার অনুদান চালু থাকলেও, তা জীবিকা নির্বাহের পক্ষে একেবারেই অপ্রতুল। সেই টাকায় আর চলছে না সংসার বলছেন এই কারখানায় কাজ করা প্রাক্তন শ্রমিকেরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারের তরফে কারখানা পুনরায় চালু করার চেষ্টা চালানো হলেও, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জেসপ এক সময় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ছিল। এখন যদি রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করে তা রাজ্য সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিলেই, ঐতিহ্যবাহী এই কারখানা আবারও চালু করা সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রী সব ব্যবস্থা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন এই শ্রমিক নেতা।
advertisement
শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, বর্তমানে জেসপের বিপুল পরিমাণ জমিতে প্রোমোটার চক্রের নজর পড়েছে। জমি দখলের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তাঁরা। ফলে বন্ধ হয়ে পড়া জেশপ কারখানা পুনরায় চালু হলে শুধু প্রাক্তন শ্রমিকরাই নয়, বহু নতুন প্রজন্মের বেকার যুবকরাও কাজের সুযোগ পাবে বলেই আশা প্রকাশ করছে জেশপ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামা শ্রমিক ইউনিয়ন।
রুদ্র নারায়ণ রায়