দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্বে থাকা কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রমানাথ দাস বলেন, ‘আমরা চাই এই জন্মাষ্টমী ভক্তদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকুক। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ হবে, দিনভর থাকবে কীর্তন ও ধর্মীয় আলোচনা। রাত ১২টায় হবে শ্রীকৃষ্ণ জন্মোৎসব পুজো, যেখানে হাজারও ভক্ত একসঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্দির প্রাঙ্গণে পুলিশ টহল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়োজিত থাকবে।’
advertisement
দিনভর আয়োজনকে ঘিরে মন্দির চত্বর ভরে উঠবে আধ্যাত্মিক সুরে। ভোরে মঙ্গল আরতির সময় শঙ্খধ্বনি ও ঘণ্টার শব্দে গমগম করবে পুরো এলাকা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কীর্তন ও প্রবচনের মাধ্যমে ভগবানের মহিমা বর্ণনা হবে, আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে আলোকসজ্জায় সেজে উঠবে সমগ্র মন্দির। ভক্তদের জন্য সারাদিন মহাপ্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকবে, যাতে দিঘায় আগত প্রত্যেকে এই পবিত্র দিনে ভক্তি ও আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন। এছাড়াও মন্দির প্রাঙ্গণে বড় পর্দায় অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পরিকল্পনাও রয়েছে। যাঁরা ভিড়ের মধ্যে মূল মন্দিরে যেতে পারবেন না, তারাও পুজোর প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পারেন।
প্রথম জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভক্তদের জন্য থাকছে এক বিশেষ আকর্ষণ, পূণ্যস্নিগ্ধ কলস অভিষেকের আয়োজন, যেখানে নির্বাচিত ভক্তরা সরাসরি অংশ নিতে পারবেন। মন্দির প্রাঙ্গণে আসন্ন এই আধ্যাত্মিক উৎসব শুধু ভক্তিময় পরিবেশই সৃষ্টি করবে না, বরং সকল দর্শনার্থীদের মনে ভগবানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অনুরাগ জাগিয়ে তুলবে। জেলাবাসীও দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের এই প্রথম জন্মাষ্টমী উদযাপনকে ঘিরে গভীর আনন্দ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় অলোকেশ মাইতি জানান, “আমাদের মন্দিরে এমন বড় আয়োজন হবে ভাবতেই গর্ব হয়। আমরা আশা করছি, এবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিঘায় হাজার হাজার পর্যটক আসবেন। এটি শুধু আমাদের শহরের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে না, আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও দিঘাকে নতুন পরিচয় দেবে।”