আরও পড়ুনঃ দিন ঘোষণা হতেই কড়া নজরদারি! পড়শি রাজ্য থেকে আসা গাড়ির দিকে বিশেষ নজর
হিমাদ্রি আড়ি জানান, “সদরে চিকিৎসা চলছে। গ্রামে যাতে আর পেটের রোগ ছড়িয়ে না পরে তার জন্য মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।” হাসপাতালে আসেন এলাকার বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি। তাঁরা চিকিৎসা নিয়ে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা রোগীদের কাছে জানতে চান। সাঁইথিয়া ব্লকের ধোবাজল আদিবাসী পাড়ায় শ্রাদ্ধের জন্য এসেছিলেন আত্মীয়রা। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁরা মুড়ি, বোঁদে ও মিষ্টি খান। রাত ১০টা থেকে বমি-পেট খারাপ শুরু হয়।
advertisement
ধোবাজল গ্রামের কাকলি কিসকু জানান, তাঁর দিদি সরলা কিসকুর রবিবার শ্রাদ্ধ ছিল। তার আগের দিন রীতি মেনে আশেপাশের গ্রামের অনেকেই সন্ধ্যায় মুড়ি খেতে আসেন। সন্ধ্যায় সেই খাবার খেয়ে রাতে বমি ও পেট খারাপ শুরু হয়ে যায়। সিউড়ি সদরের পাঁচ ও ছ’তলায় আক্রান্তদের জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ধোবাজল ছাড়াও ভবানন্দপুর, মির্ধাপুর, পাগলডাঙা, তালবোনা আদিবাসীপাড়ার শিশু মহিলা পুরুষেরা ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। মামনি হেমব্রম জানান, তাঁদের অনুমান, বোঁদে থেকেই খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েছে। বাড়িতেই বোঁদে তৈরি করা হয়েছিল। হিমাদ্রি আড়ি জানান, ‘ আশঙ্কাজনক কেউ নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।” বাকি যারা রয়েছে তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
সৌভিক রায়