চাঞ্চল্য ছড়ালো ২নং জাতীয় সড়কের মাটিয়াল এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। কী কারণে এই ফেনার উৎপত্তি? কোন ধরণের বিষাক্ত গ্যাস কিনা, তা জানতে ফেনার কেমিক্যাল টেস্টের দাবী তোলেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল নাগাদ ২ নং জাতীয় সড়কের মাটিয়াল এলাকায় সেচ নালার ধার থেকে ফেনা বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। সেই ফেনা সময়ের সঙ্গেসঙ্গে বেশকিছু এলাকা জুড়ে বাড়তে থাকে। স্থানীয়রা জানান, ফেনা হাতে নিলে চিটচিটে ধরণের লাগছে। এরপরেই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। এবং ওই ফেনার উৎস খোঁজারও চেষ্টা করছে পুলিশ।
advertisement
প্রসঙ্গত, লকডাউনের সময় দিঘার সমুদ্রের জলে বিপুল পরিমাণ ফেনা ভাসতে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। জোয়ারের সময় ঢেউয়ের সঙ্গে ওই ফেনা ভেসে আসতে দেখা গিয়েছিল। মূলত পাড়ের দিকে কয়েকটি জায়গায় বেশ কিছুটা অংশজুড়ে ফেনা দেখা গিয়েছিল। হাওয়ার সঙ্গে সেই ফেনা উড়তেও থাকে। পেঁজা তুলোর মতো দেখতে ওই ফেনা দেখে অনেকে বরফ বলেও ভুল করেন। সে সময় ফেনা দেখতে পর্যটকদের ভিড় না জমলেও স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই সমুদ্রতীরে এই দৃশ্য চাক্ষুষ করতে চলে আসেন। তাঁরা এর আগে সমুদ্রে একসঙ্গে এত ফেনা দেখেননি বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা।
সমুদ্রবিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, জোয়ারের সময় বড় বড় ঢেউ এসে পাড়ে তীব্র ধাক্কা মারছে। এতে জল তোলপাড় হচ্ছে। তখন জলের নীচে থাকা পলি ও বালি জলের সঙ্গে মিশছে। পলি ও বালির মধ্যে ফেনা হওয়ার নানা উপাদান রয়েছে। আর তার সঙ্গে মিশেছে ঘূর্ণি বাতাস। সবকিছু একসঙ্গে মিশে গিয়ে এই ধরনের ফেনা তৈরি হয়েছিল। তাই এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এদিনের ফেনার ঘটনা যেহেতু সমুদ্রের নয়, তাই আতঙ্ক আরও বেশি ছড়িয়েছে এলাকায়।