বিঘার পর বিঘা জমি কার্যত রঙিন হয়ে ওঠে। কারণ এই এলাকায় ব্যাপক হারে শীতকালীন ফুল চাষ হয়। পূর্বস্থলীর পলাশফুলি, পূর্বস্থলী, পারুলিয়া সহ একাধিক এলাকায় এই ফুল চাষের চল রয়েছে। বছরের এই সময়টায় ফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখেন ফুল চাষিরা। তবে এইবার সেই চেনা ছবিতে কার্যত ছন্দপতন ঘটেছে। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় ফুল চাষিদের একাংশের মুখে হাসি নেই।
advertisement
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল রফতানি শুরু হলেও অন্যান্যবারের তুলনায় সেই অর্থে দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। চলতি বছরের বর্ষায় বৃষ্টিপাতের হেরফেরের কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মত তাঁদের। এই প্রসঙ্গে ফুল চাষি আজিবুল শেখ বলেন, “ফুলের ভাল গ্রোথ নেই। সেই কারণে ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রি হলেও সেইভাবে লাভ হচ্ছে না।”
পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের এই এলাকায় গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালেন্ডুলা, স্টার ব্যাবিলন সহ নানা শীতকালীন ফুল চাষ করেন চাষিরা। তবে এই বছর বর্ষার কারণে ফুলের সঠিক গ্রোথ হয়নি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সেই কারণে পাইকারেরা এলেও ফুলের সেই অর্থে দাম মিলছে না। এলাকার ফুল চাষিরা জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঋণ নিয়ে ফুল চাষ করেছিলেন। ফুলের সঠিক দাম না পেলে কীভাবে তা পরিশোধ করবেন, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তা পড়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে উক্ত এলাকার ফুল চাষি আজিব আলি খান বলেন, “বিভিন্ন রকম ফুল হয়েছে, ভিনরাজ্যেও যাচ্ছে, কিন্তু সেইভাবে দাম পাচ্ছি না। ঠিকভাবে ফুলের গ্রোথ হয়নি। আবহাওয়ার জন্য গাছ তাড়াতাড়ি লম্বা হয়ে যাচ্ছে, অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা কীভাবে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।” ফুলচাষিদের কথায়, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্যে পাড়ি দিতে শুরু করেছে তাঁদের চাষ করা ফুল। শীত পড়তে না পড়তেই ফুল পাইকারদের আনাগোনাও শুরু হয়েছে। তবুও যেন চাষিদের মুখে হাসি নেই। কারণ একটাই, শত পরিশ্রমের পর তাঁদের ফুলের কদর থাকলেও, চলতি মরশুমে দাম নেই।





