কাশীপুরের প্রত্যন্ত এই সাদামাটা গ্রামের নাম ফুল প্রেমিদের কাছে আজ বিশেষ খ্যাতি পেয়েছে। গগনাবাদ গেলেই গ্রামের দু’পাশের জমিতে চোখে পড়বে একের পর এক ফুলের চাষ। সেই সঙ্গে রয়েছে রকমারি ফলের চারা থেকে শুরু করে সবজি চারাও। বছরের প্রায় সারাটা সময় চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’ অতীত, এবার দিদির পাঠশালা…! বিনামূল্যে টিউশনি-পড়াশুনা, বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের শাসকদলের
advertisement
একসময় গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই চাষাবাদ করে জীবনযাপন করত। বর্তমানে সবজি ছেড়ে রংবেরঙের ফুল চাষে ব্যস্ত পুরুলিয়ার গ্রামের বহু মানুষ। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবজির ফলন কম আবার কখনও ফসল ভাল হলেও তার সঠিক দাম না মেলায় মাথায় হাত পড়ে চাষিদের। তাই বর্তমানে গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ লোকের ভরসা এই ফুল চাষ। আর ফুল চাষ বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। পাশাপাশি কোনও এক জেলায় একচেটিয়া রাজত্বও বন্ধ হয়ে যাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে এই চাষের মধ্য দিয়েই লাভের মুখ দেখছেন গগনাবাদ গ্রামের ফুল চাষিরা। রংবেরঙের ফুলের চারা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল এবং সবজির চারা বছরের প্রায় দিনেই এই গ্রামে এলেই পেয়ে যান অনেকে। গ্রামের ফুল চাষিদের দাবি, সারা বছরই ফুল চারাগুলোর বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এসে চারাগুলো কিনে নিয়ে যান গগনাবাদ গ্রাম থেকে।
শান্তনু দাস