নদিয়ার ধানতলা, নোকারী, পূণ্যনগর ও মাঠকুমড়া এলাকায় বিস্তীর্ণ জমি জুড়ে শুধু ফুল চাষ হয়। এখানকার কৃষকেরা ধান, গম বা সবজি চাষ না করে বছরের পর বছর শুধুমাত্র ফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ফলে ফুল বিক্রি বন্ধ হলে তাদের আয়ের বিকল্প পথ প্রায় নেই। স্থানীয় ফুল চাষিদের দাবি, ফুল চাষই তাঁদের একমাত্র ভরসা। আর সেই ভরসা এখন বিপদের মুখে।
advertisement
আরও পড়ুন : নারীশক্তির জয়গান দুর্গাপুরে! মাতৃত্বের মাহাত্ম্য নিয়ে সাজছে মহামায়ার মণ্ডপ! কোথায় জানেন?
এলাকায় গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপসহ নানা প্রজাতির ফুল চাষ হয়। সারা বছর ধরে এই ফুল রাজ্যের বিভিন্ন শহর ছাড়াও দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাট, আসাম, শিলিগুড়ি, কুচবিহারসহ ভারতের নানা প্রান্তে যায়। পাশাপাশি বড় বাজার তৈরি হয়েছে ভুটান ও নেপালে। কিন্তু নেপালের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে ফুলের গাড়ি আর সেখানে যেতে পারছে না। ফলে ফুল চাষিরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আরও পড়ুন : সংঘর্ষে কেঁপে উঠল হরিহরপাড়া! মুহূর্তেই নিস্তব্ধ রাস্তা, চালকের মর্মান্তিক পরিণতি দেখে হতবাক সবাই
চাষিদের অভিযোগ, হঠাৎ ফুল রফতানি বন্ধ হওয়ায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চাষে খরচ হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু তার বিনিময়ে প্রাপ্য দাম না পেলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠবে। অনেক ফুল ইতিমধ্যেই মাঠে নষ্ট হচ্ছে। কারণ সেগুলি সময়মতো বাজারে পৌঁছতে পারছে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক ফুল ব্যবসায়ীর কথায়, “নেপালে আমরা নিয়মিত ফুল পাঠাতাম। এবারে দুর্গাপুজোর আগে প্রচুর অর্ডারও এসেছিল। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সব আটকে গিয়েছে। যতদিন না নেপাল স্বাভাবিক হচ্ছে, আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।”
ফুল চাষিদের আশা, প্রশাসন ও সরকারের তরফ থেকে কোনও না কোনও সহায়তা এলে সাময়িকভাবে হলেও তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত নেপালের বাজার বন্ধ থাকায় নদিয়ার ফুল চাষিরা যে আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য।