কৃষকরা বলছেন, ধারদেনা করে সার দিয়ে জমি তৈরি করা হয়েছিল। এক বিঘে জমিতে দশ জন করে শ্রমিক লাগিয়ে ধান রোয়া হয়েছিল। সেই সব চাষ জলে গেল। সদ্য রোয়া ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে যাবে। নতুন করে আর বীজতলা তৈরি করে ধান রোয়া যাবে না। জমি ফাঁকাই পড়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: ১৪ লাখের চাকরি, ৬০০ বর্গ গজ জমি… বড় পুরস্কার পাচ্ছেন সিরাজ, কে দিচ্ছে জানেন?
advertisement
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, ৩ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে এবার ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোয়া হয়ে গিয়েছে। সেই ধানের অনেকটাই জলে ডুবে থাকায়, ক্ষতির মধ্যে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।
জুন জুলাই মাসে বৃষ্টির যথেষ্টই ঘাটতি ছিল। সেই কারণে বীজতলা তৈরি করে বৃষ্টির আশায় বসেছিলেন অনেকেই। অনেকে আবার বাড়তি খরচ করে সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে মাটির তলার জল তুলে ধান রোয়ার কাজ শেষ করেছিলেন। অনেকে ডিভিসির ছাড়া জল পেয়ে ধান রোয়ার কাজে হাত দেন। সেই ধান নিয়েই এখন দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডোর মতো ভয়াল ঝড়! লন্ডভন্ড হুগলির একের পর এক গ্রাম
অতিবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে জেলার সবজি চাষও। অনেক সবজি জমিই এখন জলবন্দি হয়ে রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, জমা জলে সবজি গাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলনও অনেক কমে যাবে। এই জেলায় ব্যাপকভাবে বেগুন, ঢেঁড়শ, পটল, ঝিঙের চাষ হয়। এইসব সব্জির ফলন অনেকটাই কমে যাবে। তার ফলে বাজারে ফের সবজির দাম বাড়বে। ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার ফুল চাষও। পূর্বস্থলী এক ও দু নম্বর ব্লকে ব্যাপকভাবে ফুলের চাষ হয়। অতিবৃষ্টিতে অনেক ফুলগাছ মরে গেছে। ফলনও কমেছে অনেকটাই।