আরও পড়ুনঃ দামও কম, স্বাস্থ্যসম্মত! তাই প্রতিদিন চাহিদা বাড়ছে এই মাটির তৈরি বয়ামের
এক্ষেত্রে ডিভিসির সাফল্য ও ব্যর্থতা বিশ্লেষণ করে জিওলজির অধ্যাপক ডঃ কৌশিক মুখোপাধ্যায় একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, মাইথন, পাঞ্চেত, তিলাইয়া ও কোনার—ডিভিসির এই চারটি বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ১৯৫০ এর দশক থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২৩ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। সত্যব্রতবাবু তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, শুরুর সময়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার যদি ডিভিসির আওতায় সাতটি বাঁধই নির্মাণ করত, তাহলে ৩৫৯৬ মিলিয়ন কিউবিক মিটার (এমসিএম) জল ধরে রাখা সম্ভব হতো। কিন্ত চারটি বাঁধ নির্মিত হওয়ায় মোট জলধারণ ক্ষমতা কমে দাঁড়ায় ১৮৬৩ এমসিএম। তবে, জলাধার তৈরির জন্য পরিকল্পনামতো জমি না পাওয়ার কারণে জলধারণ ক্ষমতা বাস্তবে আরও কমে হয় ১২৯১ এমসিএম। প্রকল্প রূপায়ণের আগে যে পরিকল্পনা হয়েছিল, তার মাত্র ৩৬ শতাংশ জলধারণ করতে পারে ডিভিসির বাঁধগুলি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের নিগ্রহের শিকার কলকাতা পুলিশ! নাকা চেকিং-এ দুস্কৃতীদের হাতে আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট
তবে, এই রিপোর্টে জলাধারের পলি তুলে ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগকে সমর্থন করা হয়নি। বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কারিগরি ও আর্থিক কারণে এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ডিভিসি কর্তৃপক্ষও এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। কারণ, শুধু মাইথন ও পাঞ্চেতের জলাধারে এই কাজ করতে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। তবে কেন ড্রেজিং করা হয় না। সে বিষয়ে নানা মত উঠে আসছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য যথাসময়ে ড্রেজিং করা হয়। তবে, আবহাওয়াগত পরিবর্তন যে ভাবে বারবার ঘটে চলেছে তাতে লাগাতার অতিভারী বৃষ্টি হলে জল ছাড়তেই হয়। সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।