মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের গালুডি জলাধার থেকেই প্রায় ২ লক্ষ ৬৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর৷ এ ছাড়াও দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়৷ রাতে আরও জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বেড়েছে৷ এছাড়াও মাইথন, পাঞ্চেতের মতো জলাধার থেকেও মঙ্গলবার বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা! কয়েক ঘণ্টার জিবি বৈঠক শেষে মাঝরাত পেরিয়ে ঘোষণা
advertisement
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর বালিচক রাজ্য সড়কের নৈপুরে পিচ রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল।কেলেঘাই বাঁধের কিছু জায়গায় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা।মাটির বস্তা দিয়ে জল আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালান স্থানীয় বাসিন্দা এবং সেচ দফতরেরর কর্মীরা। নিচু এলাকা পরিদর্শন করলেন এগরা মহকুমা শাসক মনজিৎ কুমার যাদব ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। কেলেঘাই নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়েছে পটাশপুর থানার আমগাছিয়া থেকে সিংলাইমোড় পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায়৷ ফলে প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা৷
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুর এলাকার ১৪ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাঁসাই নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেয়৷ রাতেই তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে প্রশাসন৷ হু হু করে দামোদর নদের জল রাতেই হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর সমিতিমানা পান্ডে পাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে। জলস্রোতে ভাঙলো গ্রামে যাওয়ার রাস্তা। রাস্তার উপর হাঁটু জল পেরিয়ে গবাদি পশুদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। বসতবাড়িতেও ঢুকতে শুরু করেছে জল। আতঙ্কে এলাকার মানুষ। রাতে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরেও দামোদরের জলে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা৷