এ ছবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ও ভগবানপুরের নদী তীরবর্তী এলাকার। পটাশপুর এক ব্লকের আমগেছিয়ার সেচ দফতরের মিটার স্কেলে প্রতিনিয়ত মাপ নেওয়া হচ্ছে নদীর জলস্তরের। রবিবার সন্ধ্যায় যেখানে জলস্তর চরম বিপদসীমা ৫.৭৯ মিটার ছুঁয়েছিল। সোমবার দুপুরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫.৮৩ মিটারে। তবে মঙ্গলবার কিছুটা স্বস্তি মিলেছে, কারণ জলস্তর নেমে এসেছে ৫.৭৮ মিটারে। তবুও সতর্ক সেচ দফতর। রাত জেগে নদীবাঁধের ওপর চলছে টহলদারি। যাতে কোনও দুর্বল অংশ ভেঙে না পড়ে, সেদিকে নজর রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : তিন শতাব্দীর প্রথা! কোজাগরীর রাতে একসঙ্গে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পুজো! উৎসবে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম
প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলার টিম। মঙ্গলবার কেলেঘাই নদীর দুর্বল এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা, নিয়মিত পরিদর্শন করছেন নদীর বাঁধ এবং জলমগ্ন এলাকাগুলি। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৩০ জনের একটি নজরদারি দল। তারা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বাঁধ পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন। কোথাও যদি দেখা যায় জল বাঁধের গর্ত দিয়ে ঢুকছে, সঙ্গে সঙ্গে মেরামতির কাজ শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের কাহিনীতে সাজানো মণ্ডপে ধনদেবীর আরাধনা! ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘শ্রীবৃদ্ধি’ হয়েছে পুজোরও
২০২২ সালের বন্যার তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও ভোলেনি এলাকাবাসী। সেবার আমগেছিয়ার অদূরে ধকড়াবাঁধায় বাঁধ ভাঙনে একে একে প্লাবিত হয়েছিল পটাশপুর, ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই স্মৃতি এখনও আতঙ্কের। তাই এবারে প্রশাসন অনেক বেশি সতর্ক। নদীবাঁধের পাশে বালির বস্তা ফেলে শক্তিশালী করা হচ্ছে দুর্বল অংশগুলি। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররাও লাগাতার নজর রাখছেন নদীর স্রোত এবং বাঁধের অবস্থা নিয়ে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে, টানা বৃষ্টিতে উপকূলীয় অঞ্চলে ফের তৈরি হয়েছে উদ্বেগের পরিস্থিতি। কেলেঘাই নদীর রুদ্ররূপে একদিকে আশঙ্কা, অন্যদিকে প্রশাসনের প্রস্তুতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের কেলেঘাই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।