কিন্তু গত কয়েক মাসে জঙ্গলমহলে ফের বেড়েছে মাওবাদী তৎপরতা৷ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় মিলেছে মাওবাদী পোস্টার, এমন কি উদ্ধার হয়েছে ল্যান্ডমাইন৷ মাওবাদী পোস্টারে হুমকি দেওয়া হয়েছে বর্তমান শাসক দল তৃণমূলের নেতাদের৷ তার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন জঙ্গলমহলের শাসক দলের নেতারা৷ আর সেই আতঙ্ক থেকেই পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন বাঁকুড়ার পাঁচ জন তৃণমূল নেতা৷
advertisement
আরও পড়ুন: অগ্নিমূল্য সবজি থেকে রান্নার গ্যাস, মূল্যবৃদ্ধিতে মিড ডে মিল চালু রাখা আদৌ সম্ভব? জানুন
সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি চিত্ত মাহাতো ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন৷ এই মুহুর্তে একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার৷ কিন্তু তাতেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না চিত্ত বাবু৷ একা চিত্ত মাহাতো নয়, রানিবাঁধ ব্লকেরই আরও পাঁচ জন তৃণমূল নেতা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন বলে খবর৷
আরও পড়ুন: শুঁড় দিয়ে গেট খুলে হোটেলে ঢুকল বুনো হাতি! তার পর কী হল আতঙ্কিত পর্যটকদের?
গত ৮ এপ্রিল জঙ্গলমহলে বনধ ডেকেছিল মাওবাদীরা৷ রানিবাঁধ, রাইপুর, সারেঙ্গা, বারিকুলের মতো বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় এই বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে৷ মাওবাদীরা যে তৎপর হচ্ছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফেও সে বিষয়ে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে৷ মাও তৎপরতা দমনে জঙ্গলমহল সফর করেছেন রাজ্য পুুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য৷ সবমিলিয়ে ধীরে ধীরে ফের মাও আতঙ্ক গ্রাস করছে জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের৷
রানিবাঁধের তৃণমূল ব্লক সভাপতি চিত্ত মাহাতোর অবশ্য অভিযোগ, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিরোধীরাই মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে৷ পাল্টা বিজেপি-র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা যে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, মাও হুমকির জেরে পুলিশি নিরাপত্তা চাওয়াতেই তা প্রমাণিত৷
Mrityunjoy Das