এমনটা হলে বঞ্চিত হবেন সুন্দরবনের অন্যান্য প্রান্তের প্রচুর মৎস্যজীবী। এই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। যদিও টাইগার রিজার্ভ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। সূত্রের খবর, শুধু ক্যানিং মহকুমা থেকেই নয়, কুলতলি, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি ইত্যাদি এলাকা থেকেও বহু মৎস্যজীবী মাতলা, বিদ্যাধরী প্রভৃতি নদীতে মাছ ধরতে আসেন। কিন্তু এবারে আদৌ তাঁরা সেটা করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠন এই নিয়ে টাইগার রিজার্ভের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ।
advertisement
আরও পড়ুন: বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য সুখবর! সহজেই হাতের কাছে মিলবে কাজের সুযোগ, নতুন প্রকল্প শুরু হচ্ছে নিমপীঠে
সুন্দরবন মৎস্যজীবী যৌথ সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক ও সুন্দরবন মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির সম্পাদক বলেন, শুধু গোসাবার বাসিন্দা মৎস্যজীবীদের লাইসেন্স দিলে চলবে না। অন্যান্য এলাকার মৎস্যজীবীদেরকেও মাছ ধরার ছাড়পত্র দিতে হবে। এদিকে, কিছুদিন বাদেই সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভে লাইসেন্স নিয়ে বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে সবাইকে সেটা দেওয়ার জোরালো দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে মৎস্যজীবীদের আশ্বস্ত করেছেন বনমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “যোগ্য মৎস্যজীবীদেরই লাইসেন্স দেওয়া হবে। স্বচ্ছভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছিল। এলাকার বাসিন্দাই নন, এমনকি কলকাতায় বসে কেউ কেউ বোট লাইসেন্স নিয়ে সেটা ভাড়ায় খাটাচ্ছেন। এদের কোনভাবেই লাইসেন্স দেওয়া হবে না।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই ইস্যুতে সুন্দরবনের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন বনমন্ত্রী। সেখানে লাইসেন্স সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
সুমন সাহা