TRENDING:

South 24 Parganas News: সুন্দরবনের নদীতেও মাছ কাঁকড়া ধরা বন্ধ হয়ে গেল! এবার কী করবেন মৎস্যজীবীরা?

Last Updated:

Fishermen Of Sundarbans: নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরা নিষেধ, আর তার জেরে বিপাকে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। কী হবে এবার?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সুন্দরবন: চলতি এপ্রিল থেকে বনদফতরের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এখন থেকে তিন মাস কোনওভাবেই নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরা যাবে না। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীরা যাদের নদীকেন্দ্রিক জীবিকা, নদীর উপর তাঁদের রুজি-রোজগার, মারণ-বাঁচন লড়াই।  এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা।
advertisement

এই মুহূর্তে তাঁদের করুণ দুর্দশার মধ্যে দিনযাপন করতে হচ্ছে। কখনও বা এক বেলা খাওয়া জুটছে কখনও বা তাও জুটছে না। কীভাবে চলবে এই মুহূর্তে তাঁদের সংসার? একবেলা খেতে পেলেও অন্যবেলায় কী খাবে তার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। দীর্ঘ সময় যাবৎ অর্থাৎ পুরুষানুক্রমে নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরা তাঁদের জীবিকা নির্বাহ।

advertisement

ফ্রিজে জমে উঠছে বরফের পাহাড়? করুন এই ‘ছোট্ট’ কাজ…! বার বার পরিষ্কারের ঝামেলা থেকে মুক্তি সহজেই!

ছাদের ট্যাঙ্কে ফেলে রাখুন এই জিনিস…আর কোনওদিন জল পরিষ্কার করতে হবে না! ‘RO’ ফিল্টারের থেকেও বিশুদ্ধ জল পাবেন!

আর এই তিন মাস নদীতে নামা নিষেধ, হওয়ায় বড় বিপদগ্রস্ত তারা। আর এই কথাবার্তা বলতে বলতে তাতে তারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা কুলতলির গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী অঞ্চলের পয়লা ঘেরির মৎস্যজীবীদের কথায়, ছোটবেলা থেকে আমরা নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে সংসার নির্বাহ করে আসছি, নদীর উপরে নির্ভরশীল আমরা। এই দেখছেন আমাদের এক চিলতে নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মাটির বাড়ি। তারপর প্রতি বছরের প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই আছে। কখনও বা ঘর ছাড়তে হচ্ছে কখনও বা বসতবাড়ি থেকে অন্যত্রে চলে যেতে হয়েছে। গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল, প্রতিনিয়ত বাঘের আনাগোনা লেগেই আছে।

advertisement

এই জঙ্গলে, জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে আমরা মাছ কাঁকড়া ধরলে তবে চলে আমাদের সংসার। কিন্তু এই মুহূর্তে নদীতে মাছ ধরা নিষেধ। আর বনদফতরে এমনই নির্দেশিকা জারি হয়, বিপাকে পড়েছি আমরা। নুন আনতে পান্তা ফুরানো, আমাদের সংসার কিভাবে চলবে? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমুদ্র সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা করে যদি পেতাম তাহলে এই তিন মাস কোনওভাবে কষ্টে-সৃষ্টে চলত সংসার। কিন্তু গত বছর থেকে তা আর দেখা মেলা ভার। এই করুণ পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারদের আর্তনাদ, সরকার মানবিক হয়ে তাদের সহযোগিতা করুক। কারণ এক বেলা খাওয়া আরেক বেলা খাওয়া না জোটা পরিবারদের বিকল্প কর্মসংস্থান যতদিন না জুটবে ততদিন এভাবে চলবে। দেখা যাক এই সমস্ত পরিবারের পাশে সরকার মানবিক হবেন। এমনই আশা করছেন তারা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

সুমন সাহা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
South 24 Parganas News: সুন্দরবনের নদীতেও মাছ কাঁকড়া ধরা বন্ধ হয়ে গেল! এবার কী করবেন মৎস্যজীবীরা?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল