ছাদের ট্যাঙ্কে ফেলে রাখুন এই জিনিস...আর কোনওদিন জল পরিষ্কার করতে হবে না! 'RO' ফিল্টারের থেকেও বিশুদ্ধ জল পাবেন!

জল আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমরা প্রতিদিন যে জল ব্যবহার করি, তা যদি বিশুদ্ধ না হয়, তবে তা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেক সময়ই ছাদের উপরের ট্যাঙ্কে জমে থাকা জল থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, কিংবা দেখা যায় সবুজ রঙের একরকম আস্তরণ—যা মূলত শ্যাওলা। ফলে সেই জল ব্যবহারে ত্বকে অ্যালার্জি, চুলকানি এমনকি পেটের অসুখ পর্যন্ত হতে পারে। (Representative Image: Generated by AI)

তবে ভাবলে অবাক লাগবে, এমন কিছু উপায় রয়েছে যা মেনে চললে ছাদে রাখা জল স্বাভাবিক নিয়মেই দীর্ঘদিন স্বচ্ছ ও নিরাপদ থাকে। কোনোরকম রাসায়নিক ব্যবহার না করেও সেই জল হয়ে ওঠে RO-এর থেকেও বেশি বিশুদ্ধ। (Representative Image: Generated by AI)

অনেক সময়ে দেখা যায়, ছাদের উপর রাখা জলের ট্যাঙ্ক দ্রুত ময়লা হয়ে যাচ্ছে, অথচ বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। কিছুদিন পর সেই জল থেকে গন্ধ বের হওয়া শুরু করে বা জলে সাদা-সবুজ আস্তরণ দেখা যায়। তখন বাধ্য হয়ে পুরো ট্যাঙ্ক খালি করে পরিষ্কার করতে হয়। কিন্তু যদি এমন হয়, সেই জল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশ্রুত থেকেও রয়ে গেল দীর্ঘদিন ধরে? (Representative Image: Generated by AI)

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু প্রাকৃতিক উপাদান বা উপায় রয়েছে, যেগুলি জলে মিশে গিয়ে একধরনের সুরক্ষা বলয় তৈরি করে। এই বলয়ের ফলে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা অন্য কোনও দূষণকারী উপাদান জলকে সহজে দূষিত করতে পারে না। (Representative Image: Generated by AI)

এসব উপায় প্রয়োগ করলে ট্যাঙ্কে শ্যাওলা জমে না, জলে দুর্গন্ধ হয় না, এমনকি জলের স্বাদও উন্নত হয়। সেই জল রান্না, স্নান বা পান—সব ক্ষেত্রেই উপযুক্ত। একধরনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে সেই জলের মধ্যে, যাতে জীবাণু জন্মানোর পরিবেশ তৈরি হতে পারে না। (Representative Image: Generated by AI)

সবচেয়ে বড় কথা, এমন প্রযুক্তি বা উপায় মেনে চললে ট্যাঙ্ক ঘন ঘন পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। এতে সময় ও খরচ—দু’টোই বাঁচে। (Representative Image: Generated by AI)

অনেকেই বলে থাকেন, জল শুদ্ধ করতে বিশাল যন্ত্র লাগবে বা দামি ফিল্টার। কিন্তু প্রকৃতিরই কিছু গুণ আছে, যেগুলো জানলে আমরা বুঝতে পারব—বিশুদ্ধ জল পেতে গেলে সবসময় প্রযুক্তির পিছনে ছোটা দরকার নেই।  (Representative Image: Generated by AI)

ছাদের উপরে রাখা ট্যাঙ্কে যদি জাম গাছের কাঠ রাখা হয়, তবে ট্যাঙ্কের জল দীর্ঘদিন বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার থাকে। জাম কাঠে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মাতে দেয় না। ফলে শ্যাওলা বা কাই গড়ে ওঠে না, এবং ট্যাঙ্কও ঘন ঘন পরিষ্কার করার দরকার পড়ে না। (Representative Image: Generated by AI)

জাম কাঠ জলের দূষণ প্রতিরোধ করে এবং জলকে দীর্ঘদিন সতেজ ও পরিশ্রুত রাখতে সাহায্য করে। এতে জল শ্যাওলা-মুক্ত থাকে এবং পরিষ্কার থাকে। পাশাপাশি, এটি জলের স্বাদ ও গন্ধ উন্নত করে। (Representative Image: Generated by AI)

জাম কাঠ থেকে নির্গত ফাইটো-কেমিক্যালস জলে থাকা ক্ষতিকর কীট বা জীবাণু ধ্বংসে সহায়ক। এর মধ্যে কিছু অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ থাকে, যা জলে মিশে জলকে পুষ্টিকর করে তোলে। জাম কাঠ জলের TDS (Total Dissolved Solids) নিয়ন্ত্রণে রাখে। (Representative Image: Generated by AI)

কী ভাবে ব্যবহার করবেন জাম কাঠ: একটি জাম গাছের কাঠ পরিষ্কার করে জলের ট্যাঙ্কে রেখে দিন। এই কাঠ ১০০ বছর পর্যন্ত নষ্ট হয় না। ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের সময় কাঠটি পরিষ্কার করে আবার ট্যাঙ্কে রেখে দিন। (Representative Image: Generated by AI)

জাম কাঠে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণও রয়েছে, যা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতেও সহায়ক। এছাড়াও, জাম কাঠ বহু রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। (Representative Image: Generated by AI)