গত কয়েক বছরে স্থানীয় বহু মৎস্য শিকারি এই পেশা ছেড়েছেন। কেউ মিষ্টির দোকানে কাজে লেগেছেন, কেউ চাষের জমিতে, আবার কেউ ইট ভাটায় কাজে যোগ দিয়েছেন। গত প্রায় এক দশকে রূপনারায়ণ নদীতে জাল ফেলে সেভাবে মাছ মিলছে না। মাছ ধরে সংসার চালানো তো দূরের কথা। অনেকেই বলছেন, জাল কেনা নৌকা মেরামতির খরচই উঠছে না নদীতে মাছ ধরে।
advertisement
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মৎস্য শিকারীদের উজাড় করে দিত নদী। জাল ফেললেই উঠত নানা ধরনের মাছ। আর ইলিশের মরশুম এলে আরও লাভবান হবার সুযোগ ইলিশ বিক্রি করে বাড়তি আয় হত। এখন সেসব অতীত। বর্তমানে দিনের পর দিন নদীতে ভেসে থেকে জাল পেতে মাছের অপেক্ষায় থেকে নিরাশ হতে হচ্ছে। ইলিশের সিজনেও নদীতে মিলছে না ইলিশ। ফলে বাধ্য হয়ে ছোট ছোট নৌকায় জাল গেঁথে এক একটি নৌকায় চার থেকে ছ’জন মিলে নদী থেকে মাছের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন সাগরে।
হাওড়ার রূপনারায়ণ নদী তীরবর্তী গ্রামের মৎস্য শিকারীরা নদীপথে পৌঁছে যাচ্ছেন সাগরে। অনেক আশা নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এবার, বাগনান আমতার বিভিন্ন গ্রামের মৎস্য শিকারীরা। রূপনারায়ণ নদী থেকে কোলাঘাট হলদিয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছেন মাছ শিকার করতে।
রাকেশ মাইতি