উদ্যোক্তারা বলেন, এখানকার আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো দামোদর নদ ও তার দুই পাশের জমির ওপর নির্ভরশীল। সেকথা মাথায় রেখেই মেলার আয়োজন। দামোদর নদীতে নিখোঁজ হওয়া মানুষদের দেহ তুলতে সাহায্যকারী ১৫ জন মত্স্যজীবীকে পুরস্কৃত করা হয় এ দিন।
আরও পড়ুন : জয়দেব মেলা ও কেন্দুলি মেলা এক নয়, দুই মেলার স্থান, ইতিহাস সবই আলাদা
advertisement
জানা গেছে, তাঁরা বিভিন্ন সময়ে নদীর জলে নেমে বিপদে পরা মানুষকে সাহায্য করে থাকেন। তাছাড়াও জলে ডুবে নিখোঁজদের উদ্ধারে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ৫৭ বছর আগে এলাকার বাসিন্দারা এই মেলার সূচনা করেছিলেন। এই মেলায় আশপাশের আট দশটি গ্রামের মানুষ একত্রিত হন। মেলার কটা দিন সকল ধর্মের মানুষও মিলিত হয়ে জুজুটি এলাকায় সৌহার্দ্য-বার্তা ছড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন : ‘স্পঞ্জ রসগোল্লা’ নামের কারণ কী? অন্য রসগোল্লার সঙ্গে পার্থক্যই বা কোথায়? জেনে নিন
তাঁদের সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে আপ্লুত মৎস্যজীবীরা। তাঁরা বলছেন, এই স্বীকৃতি মানুষের জন্য ভাল কাজ করার পুরস্কার। আরও কিছু করার প্রেরণা যোগাবে এই উদ্যোগ।
পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে নানান মেলা উৎসব হয় জেলা জুড়েই। তার মধ্যে অন্যতম এই জুজুটি দামোদর দন্তেশ্বরী মেলা। এই সময় ধান কাটা ধান ঝাড়ার কাজ শেষ হয়ে যায়। বাসিন্দাদের হাতে ধান বিক্রি করে টাকাও আসে। সেই কিছুদিনের কাজের অবসরে আনন্দ করতেই এই মেলার সূচনা হয়েছিল। মেলায় নানান স্টল রয়েছে। হস্তশিল্পের পসার রয়েছে। রয়েছে নানান খাবারের স্টল। প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।