West Burdwan News : জয়দেব মেলা ও কেন্দুলি মেলা এক নয়, দুই মেলার স্থান, ইতিহাস সবই আলাদা

Last Updated:

Joydeb Mela : কবি জয়দেবের শিষ্য ছিলেন বাউল দাস। গত কয়েকশো বছর আগে তিনি কাঁকসার সিলামপুরে নিজের আখড়া তৈরি করেন। সেখানেই বসবাস করতেন বাউল দাস।

+
মেলায়

মেলায় আশা এক বিক্রেতা মিষ্টি তৈরি করছেন।

নয়ন ঘোষ, কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : মকর সংক্রান্তি মানে শুধু পুণ্যস্নান নয়। মকর সংক্রান্তি তিথিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় মেলার। যার মধ্যে অন্যতম গঙ্গাসাগর মেলা, জয়দেব মেলা। তবে জয়দেব মেলার সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসে আরও একটি মেলার নাম। তা হল কেন্দুলি মেলা। এই মেলা যেমন প্রাচীন, তেমনভাবেই ধার্মিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। অনেকেই জয়দেব এবং কেন্দুলি মেলাকে একটি মেলা মনে করেন তবে। কেন্দুলি মেলা আয়োজন করা হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসায়। জয়দেব মেলা আয়োজিত হয় অজয় নদীর পাড়ে। আর কেন্দুলি মেলা আয়োজিত হয় দামোদরের পাড়ে। জয়দেবের অন্যতম শিষ্য বাউল দাসের স্মৃতির উদ্দেশে শুরু হয়েছিল এই মেলা। তারপর থেকে চিরাচরিত ভাবে চলছে কেন্দুলি মেলা। অনেকেই বলেন জয়দেব মেলা ও কেন্দুলিি মেলা একে অপরের পরিপূরক।
advertisement
আরও পড়ুন : যন্ত্রণার পরও জীবন আছে, মুক্তকণ্ঠে জানালেন অ্যাসিড হামলায় আক্রান্তরা
৩০০ বছর ধরে কাঁকসার সিলামপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বাউল দাসের কেন্দুলি মেলা। জানা গিয়েছে, কবি জয়দেবের শিষ্য ছিলেন বাউল দাস। গত কয়েকশো বছর আগে তিনি কাঁকসার সিলামপুরে নিজের আখড়া তৈরি করেন। সেখানেই বসবাস করতেন বাউল দাস। পরে তিনি মারা গেলে, সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
advertisement
advertisement
গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন, স্বপ্নাদেশ পেয়ে গত ৩০০ বছর আগে এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। সেই দিন থেকে প্রতি বছরের মত, আজও মহা ধুমধামে মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। মকর সংক্রান্তির দিন বেলা বারোটা থেকে মেলা শুরু হয়। মেলা চলে সাত দিন। নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মেলা প্রাঙ্গণে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই মেলায় ভিড় জমান।
advertisement
আরও পড়ুন : সাতসকালে আবাসনের পাঁচতলার কার্নিশে বেকায়দায় মিনি! কী করে রক্ষা পেল পোষা বিড়াল? সে এক কাণ্ড!
কথিত আছে দামোদর নদে মকর সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্নান সেরে কেন্দুলি মেলা প্রাঙ্গণে মহাদেব ও দেবী কালীর মন্দিরে পুজো দিলে, অনেকেরই শরীরের রোগ সেরে যায়।সেই বিশ্বাস নিয়েই হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। তবে করোনার জন্য গত দু বছর তেমন ভিড় না জমলেও, এবছর মেলায় ব্যাপক ভিড় হবে বলে আশা করছেন মেলার আয়োজকরা। সেই মতো বিভিন্ন বন্দোবস্ত করা হয়েছে মেলায়। পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে নিরাপত্তার।
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
West Burdwan News : জয়দেব মেলা ও কেন্দুলি মেলা এক নয়, দুই মেলার স্থান, ইতিহাস সবই আলাদা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement