পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তাদের প্রিয় মানুষটি হয়ত আর ফিরবেন না। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সকালে সেক মনসুরকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ট্রলারে ডেকে নিয়ে যান অন্যান্য ট্রলার কর্মীরা। পেটুয়াঘাটের মৎস্যবন্দরে তাঁরা একসঙ্গে নৌকা নিয়ে রওনা হওয়ার কথা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আচমকা খবর আসে যে মনসুর ট্রলার থেকে পড়ে গিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : মা-মেয়েকে শুঁড়ে তুলে আছাড়! বুনো হাতির হামলায় গৃহকর্তার সামনে শেষ পরিবার! জানলে ভয়ে গায়ে কাঁটা দেবে
দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরও মনসুরের সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন সকলে। খবর পেয়ে মনসুরের পরিবার ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। তাঁর ছেলে নদীতে নেমে বাবার খোঁজে তল্লাশি চালায়, কিন্তু কোনও নিখোঁজ বাবার খোঁজ মেলেনি। মনসুরের সঙ্গে থাকা একটি কালো রঙের গামছা পাওয়া যায়, যার মধ্যে ছিল সামান্য কিছু টাকা। এই খুঁজে পাওয়া গামছা যেন এখন নিখোঁজ মৎস্যজীবীর একমাত্র স্মৃতি হয়ে উঠেছে পরিবারের কাছে। অনেক খোঁজাখুঁজি পর না পেয়ে পরিবার লোকজন নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে জুনপুট কোস্টাল থানায়।
অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সহায়তায় নদীতে অনুসন্ধান চলছে। তবুও এখনও পর্যন্ত মনসুরের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। জুনপুট কোস্টাল থানার ওসি জানিয়েছে, “আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তল্লাশি শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।” নিখোঁজ মৎস্যজীবীর স্ত্রী ভেঙে পড়েছেন। চোখে জল নিয়ে তিনি বলেন, “আমার স্বামীকে সেদিন বাড়ি থেকে ডেকে কাজে নিয়ে গিয়েছিল এক মৎস্যজীবীর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কখনও ভাবিনি এভাবে আর ফিরবে না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে তাকাতে পারছি না। উনি যেন ফিরে আসেন।” একদিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সেক মনসুরের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই অনিশ্চয়তা বাড়ছে। নিখোঁজের এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।






