কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি। আর সেই মাছ চাষ করেই স্বনির্ভর হচ্ছেন বেকার তরুণরা। তবে একটু অন্যরকমভাবে। মাছ চাষের জন্য আলাদা করে পুকুর কাটতে হয়নি। পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির জলেই মাছ চাষ করছেন একদল তরুণ। আসানসোলের জামুরিয়া ব্লকের ধসল গ্রামে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়েন তাঁরা। এরপরই সেই গোষ্ঠীকে মাছের চারা দেয় প্রশাসন। খোলামুখ খনির জলে মাছের চারা ছাড়েন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। তারপরেই শুরু মাছ চাষ। মাছ চাষে যা আয় হবে তাতে অভাব মিটেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের।
advertisement
খোলামুখ খনির জলে মাছ চাষ
- জামুড়িয়া ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে মাছের চারা দেওয়া হয়েছে
- প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মাছের চারা খোলামুখ খনির জলে ছাড়া হয়েছে
- মাছের খাবারও দিচ্ছে প্রশাসন
- গ্রামের প্রায় ৫০ জনকে নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে
- রুই, কাতলা, মাগুর, বাটা মাছ চাষ হচ্ছে
- মাছ চাষে কর্মসংস্থান বেড়েছে
প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বাসিন্দারাও। পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির জলে মাছ চাষে শুধু কর্মসংস্থান তো বেড়েছে, একইসঙ্গে পরিত্যক্ত জমিও ব্যবহার হচ্ছে। বেকারত্ব নয়, কর্মসংস্থান। এই লক্ষ্যেই এগিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই বিভিন্ন উপায়ে বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে প্রশাসন।