পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে অবস্থিত গোদাপিয়াশাল মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি আধুনিক স্বয়ংক্রিয় ঘণ্টা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ঠিক সময় মতো নিজে নিজেই ঘণ্টা বেজে উঠবে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক শিবপ্রসাদ কুন্ডুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই ব্যবস্থা চালু হল। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবে। সেই সঙ্গেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষক মহলের ধারণা, এই ব্যবস্থা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় আকৃষ্ট করবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এক শরীরে ২টি মাথা, ২টি জিভ! মেদিনীপুরে দু’মুখো সাপ উদ্ধার, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়
একটি নতুন মাধ্যমকে হাতিয়ার করে ক্লাস শিডিউল চলছে। পাশাপাশি এই নতুন নতুন অভিনব উদ্যোগের ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা কমবে বলেও আশাবাদী স্কুল শিক্ষকরা। প্রার্থনা থেকে প্রতি পিরিয়ডের শেষে আপনা আপনি এই ঘণ্টা বেজে উঠছে। সেই সঙ্গে সমধুর কণ্ঠে ক্লাস শেষ ও শুরুর নির্দেশ। পাশাপাশি মিড ডে মিল আহারে যাওয়ার নির্দেশ বা প্রার্থনায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ, সবকিছু এই মাধ্যমে ঘোষিত হচ্ছে। এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক শিবপ্রসাদ কুন্ডু ও মনিকাঞ্চন রায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের কাছে বেশ চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠেছে। স্কুলের ছাত্ররাই সেকথা জানিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপাল প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, একটি নতুন ভাবনা, নতুন উদ্যোগ। ছাত্ররা এতে ভীষণ খুশি। বিদ্যালয় শুরু থেকে ৪ঃ৩০টে পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় ঘণ্টাধ্বনি চালু থাকে। মূল উদ্যোক্তাদের কথায়, এতে কাউকে অপারেটর করতে হয় না। একটা সুইচ দিলে আপনা আপনি কাজ করবে। ভেমুয়া হাইস্কুলে এই সুন্দর ঘণ্টাধ্বনি দেখে শিবপ্রসাদবাবু যোগাযোগ করেন। ওই স্কুলের শিক্ষক সুরজিৎবাবুর কাছ থেকে বিষয়টি বুঝে নিয়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মনিকাঞ্চনবাবুর তত্ত্বাবধানে এই রকম একটি প্রয়াস চালু হয়েছে। এই বিদ্যালয়ের সভাপতি সন্দীপ সিং বলেন, আমাদের শালবনি ব্লকে এই সিস্টেম প্রথম। নতুন শিক্ষাবর্ষে এমন একটি বিষয় সবাইকে মুগ্ধ করেছে।





