আরও পড়ুন: পথচারী থেকে চালক… ছুটির দিনেই সবার পথ আটকান এঁরা, চাঁদা নয়, কারণ জানলে অবাক হবেন
বৃক্ষ প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রায় দুই মাস আগে, গাছের গোড়া থেকে কাণ্ডের স্তরের উপর কয়েক ফুট রেখে গাছগুলির উপরের অংশ ছাঁটাই করা। সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। সাফ এবং নিমসিলের মত রাসায়নিক নতুন পাতার বৃদ্ধির জন্য প্রয়োগ করা হয়েছিল। পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলিকে প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় প্রথমে গাছের চারপাশে ২.০ মিটার গভীরতায় যত্ন সহকারে মাটি খুঁড়ে শিকড় গুলোকে আস্ত রাখা। এরপর অতিরিক্ত শিকড় কাটা এবং ২৫এমটি ক্রেন ব্যবহার করে সাবধানে গাছ উপড়ে ফেলা। আনুমানিক ১ কিলোমিটার দূরে গাছগুলিকে ট্রাকে করে তাদের নতুন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। SAAF এবং নিমসিল তেল দিয়ে আবার শিকড়ের পর্যবেক্ষণ করা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে ভেষজ উদ্যান, ঔষধি গাছ চিনছে পড়ুয়ারা
আগে থেকেই পরিখা খনন করা, জৈব রাসায়নিক সার দিয়ে তাদের সমৃদ্ধ করা। গাছগুলিকে পরিখার মধ্যে রাখা, মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দেওয়া। পুরো অপারেশনটি চলে প্রায় ১০ ঘন্টা। নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের পাশাপশি পরিবেশ সংরক্ষণের একটি অসাধারণ পদক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার , শ্রী সঞ্জীব কুমার বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা শুধুমাত্র গাছ লাগানোর মাধ্যমেই সম্ভব। বর্তমানে রোপিত একটি গাছ অনেক ভবিষ্যত প্রজন্মকে অক্সিজেন সরবরাহ করবে। এটি গাছ প্রতিস্থাপনের প্রথম এবং একমাত্র উদ্যোগ। হাওড়া বিভাগে, যেখানে সাতটি গাছ সফলভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। একসঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি