এই জলস্বপ্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জঙ্গিপুর পৌরসভায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগে খুশি প্রকাশ করেছেন ফিরহাদ। তবে এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে স্থানীয় কাউন্সিলার ও প্রধানদের নিয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সামনে বক্তব্য রাখলেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ''আমি চাই আমার বিধানসভা স্বচ্ছভাবে চলুক। দলের যেসব প্রধান চুরি করছে, তাদের চুরির দায় আমাদের নেত্রীকে নিতে হচ্ছে। যে সমস্ত প্রধান ও কাউন্সিলাররা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, যারা চুরি করছে তাদের গ্রেফতার করা হোক। না হলে আমাদের দল স্বচ্ছ হবে না। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান ও কাউন্সিলারদের জন্য দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দলে থেকে যারা নিজেদের স্বার্থ দেখে তাদের দল থেকে সরাতে হবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: জেরায় হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত কন্যা! ইডি-কে যা বললেন, তোলপাড় বাংলা
আর জাকির হোসেনের এই মন্তব্যে সহমত জানিয়েছেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ''দলের মধ্যে অনেক দুর্নীতি চলছে। সেটাই জাকির হোসেন বলেছেন। উনি ঠিকই বলেছেন। আর দলে যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অভিযোগ পাওয়া মাত্র তাদের রাজ্য নেতৃত্বরা দল থেকে বহিষ্কার করছেন।'' তবে এই বিষয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''সংসারে পাঁচটা ভাই থাকলে একটা ভাই সংসার বদনাম করে দেয়। এক কোটি মানুষের এই তৃণমূল দলে মাত্র হাজার খানেক চোর থাকতে পারে, তার বেশি নয়। কিন্তু এটাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বড় করে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এটা কোনো বড় বিষয় না।''
আরও পড়ুন: দিন ঘোষণা যবেই হোক, CPIM তৈরি! দুরন্ত ছকে পঞ্চায়েতে বাজিমাত হবেই, জাগছে আশা
জাকির হোসেনের এই মন্তব্যের পর বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, ''এখন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরাই একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ দিচ্ছে। গোটা তৃণমূল দলটাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তৃণমূলের সব নেতারা মাটি মাফিয়া, কয়লা, বালি পাচারের সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পের টাকা নিজেদের পকেটে ভরতে মরিয়া তৃণমূলের লোকেরা।''