বর্তমানে এই গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস। মুর্শিদাবাদের এই গ্রাম শক্তিপুজোর জন্য প্রসিদ্ধ। প্রতি বছর এই গ্রামে কালীপুজো ঘিরে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুজোর সময় আশেপাশের গ্রামগুলি ছাড়াও বাইরে থেকে প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে যে উন্মাদনা থাকে তা জেলার অন্য কোনও মহকুমায় দেখা যায় না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাবধান! আপনি কি গুজব ছড়িয়ে থাকেন? এই জেলায় যা হল তাতে চমকে উঠবেন আপনিও
এক সময় এই গ্রামে ৮০-৯০টি কালীপুজো হত। বর্তমানে কমে গিয়ে এখন ৪৮টি মতো পুজো হয় বলে জানা যায়। তাই এই গ্রামটিকে ‘কালীক্ষেত্র’ বলা হয়। সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলার আর কোথাও এমন ধুমধাম চোখে পড়ে না। এখানে দুর্গাপুজোর থেকে কালীপুজোয় বেশি জৌলুস দেখা যায়। বেশিরভাগ পুজো কমিটির বাজেট লক্ষাধিক টাকারও বেশি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রাচীন বড় রায় কালী, ছোট কালীবাড়ির কালী, গঙ্গাময়ী, বেনে কালী কৌলিক পুজো বলে পরিচিত। কালীপুজোকে ঘিরে বিসর্জনের দিন গোকর্ণ হাইস্কুল চত্বরে বিশাল মেলা বসে। আতশবাজি প্রদর্শনী দেখার জন্য এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেছিলেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই চলে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই আতশবাজি প্রদর্শনী। পাশাপাশি কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।