স্থানীয়রা জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা কার্যকর হয়নি। কারণ, এলাকায় নেই কোনও অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র। আগুন লাগলেই ভরসা রাখতে হয় বসিরহাট শহর থেকে আসা দমকল ইঞ্জিনের ওপর। যেটির এখানে পৌঁছতে সময় লাগে অনেক। অন্তত ৪০–৪৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছতে হয়। এর মধ্যেই আগুন সবকিছু গ্রাস করে ফেলে। ফলে প্রায়ই দেখা যায়, দমকল পৌঁছনোর আগেই সর্বস্ব হারাতে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে।
advertisement
আরও পড়ুন : সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামে দুর্গাপুজো হয় ধুমধাম করে, তবু নেই একটিও মৃন্ময়ী প্রতিমা! আসল রহস্য জানলে চমকে যাবেন
গ্রামাঞ্চলে ঘনবসতি এবং ঝুপড়ি ঘরের আধিক্যের কারণে আগুন লাগলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আক্ষেপ, “প্রতি বার একই চিত্র। দমকল পৌঁছনোর আগেই সব শেষ। আমাদের হিঙ্গলগঞ্জ বা হাসনাবাদ এলাকায় যদি একটি দমকল কেন্দ্র থাকত, তবে এত ক্ষতি হত না।” এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন, হিঙ্গলগঞ্জ বা লাগোয়া হাসনাবাদে একটি অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র স্থাপন করার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিশেষত সুন্দরবন সংলগ্ন এই দুর্গম অঞ্চলে যেখানে নদীবেষ্টিত এলাকা, সেখানে দ্রুত দুর্ঘটনা মোকাবিলার জন্য দমকলের উপস্থিতি সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। দমকল কেন্দ্রের অভাব যেন এক অদৃশ্য আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। আজ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, কাল হয়ত অন্য কোনও অগ্নিকাণ্ড। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় ক্ষতির হিসেব বাড়ছে, মানুষ হারাচ্ছেন সর্বস্ব। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই ভয়াবহতা থামানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছে সাধারণ মানুষ।