দোকান মালিক দ্রুত দোকানে এসে শাটার খুলতেই ভেতর থেকে আরও প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। কী ভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট না হলেও শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান। স্থানীয় মানুষজন তারা দ্রুত আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান, কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেমারি থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
advertisement
দোকানে প্রচুর জামাকাপড় মজুত ছিল। আগুনে পুড়ে এবং জলে ভিজে অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সঠিক করে কিছু জানাতে পারেননি দোকান মালিক । তবে অধিকাংশই কাপড় পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সিসি ক্যামেরার সংযোগ থেকেই শর্ট সার্কিট এবং তার থেকেই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান দোকান মালিকের। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছে জামালপুর থানার পুলিশ ও দমকল বিভাগ। দোকানের মালিক বলেন, “বাংলার নতুন বছর সবাই ভালো করে ব্যবসা করার কামনা রাখেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। এই ক্ষতি কী ভাবে সামলাব তা বুঝে উঠতে পারছি না। বহু টাকার সামগ্রি কেনা হয়েছিল। আগুনে তার বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেল”।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে অনেকেই সকাল সকাল বাজারে এসেছিলেন। পোড়া গন্ধ বের হতেই সন্দেহ হয়। এরপর একজন লক্ষ্য করেন বন্ধ পোশাকের দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তখনই দোকানের মালিককে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে দোকান খুলতেই আগুনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। এলাকার বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। দমকলের একটি এঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।