স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শয়ন শেখ ও নয়ন শেখ দুই ভাইয়ের বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় শনিবার মধ্যে রাতে। মৃত দুই জমজ বালক ও নাবালিকা কন্যার বাবা হল শয়ন শেখ। প্রাথমিক সূত্রে জানা যায় শয়ন শেখের বাড়িতে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায়। কিন্তু বাড়ির ঘরের মধ্যেই ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। তিন ভাই ও বোন একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল। কখন আগুন লেগে যায় বুঝতে পারেননি তারা। ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায় বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন : দম বন্ধ করা দৃশ্য! সোনামুখীতে ৯ ফুট লম্বা ও ১৪ কেজির বিশাল পাইথন, দেখেই মাথা খারাপ সকলের
ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও দ্রুত। আগুন দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা তৎপরতার সঙ্গে ছুটে এলেও শেষ রক্ষা করতে পারেন নি। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ঘরের আসবাবপত্র সহ সমস্ত জিনিস। ঘুমন্ত অবস্থায় দুই জমজ ভাই সহ এক নাবালিকার প্রাণ চলে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ভগবানগোলা বিধানসভার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার , ও রানিতলা থানার পুলিশ প্রশাসন। মৃত ২ বালক ও নাবালিকা কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নশিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দমকল আসার আগেই পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে একই পরিবারের তিনজন ছোট্ট সদস্যর এই ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ চলে যাওয়ার কারণেই কান্নার রোল নেমে এসেছে পরিবার সহ গ্রাম জুড়ে।