আরও পড়ুনঃ NEET-এ কম নম্বরেও করতে পারবেন MBBS! খরচা ভীষণ কম, গুণমানে সেরা দেশের এই ২০ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ
স্থানীয়দের অনুমান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানানহয়নি। এই কারখানা ও গোডাউনে কর্মরত ছিলেন প্রায় আড়াইশো শ্রমিক। প্রশ্ন উঠছে তবে কি এত বড় কারখানায় ছিল না কোন অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা! এরপরই আমরা ঘুরে দেখি গোটা কারখানা চত্বর। দেখা গেল, ঘটনাস্থলে রয়েছে অগ্নি নির্বাপনের বিশেষ সরঞ্জাম সহ ফায়ার অ্যার্লাম। সব ধরনের আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই কারখানায় আগুন নেভানোর কিছু প্রাথমিক ব্যবস্থা থাকলেও, সেগুলি কাজ করেনি। এমনকি কর্মীদের ফায়ার সেফটি বা ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনও প্রশিক্ষণ ছিল না এমনটাও বলছেন এলাকাবাসীরা। ঘটনার পর এখনও গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে ঘন ধোঁয়া। একাধিক দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে মাঝে মাঝেই ছোট বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
advertisement
আগুন নেভাতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে জানাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। প্রায় কুড়িটি ইঞ্জিন এখনও কাজ চালাচ্ছে। আগুন নেভার পরই নিরাপত্তার দিক থেকে কতটা গাফিলতি ছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে। এমন বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর অনেকেই মনে করছেন শুধু অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাই নয়, কারখানা বা গোডাউন হোক, কিংবা বহুতল জরুরি অবস্থায় আগুন নেভানোর জন্য সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন রয়েছে দক্ষ অগ্নি নির্বাপন কর্মী রাখারও। তাহলেই এড়ানসম্ভব এই ধরনের বিপদ।
Rudra Narayan Roy