পাঁশকুড়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শেখ জাহাঙ্গীর বনসাই পদ্ধতিতে প্রায় একশটি প্রজাতির গাছ নতুনভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন। তাঁর বাগানে এ পর্যন্ত মোট ২০০টি বনসাই গাছ রয়েছে। বনসাইয়ের মাধ্যমে শুধু বাড়ির সৌন্দর্যের জন্য গাছ তৈরি নয়, এর মাধ্যমে বিভিন্ন লুপ্তপ্রায় গাছ সংরক্ষণও করা যায়। বিভিন্ন গাছের বনসাই করা যায় তবে বনসাই হিসাবে সবথেকে পরিচিত বট ও অশ্বথ। তবে জাহাঙ্গীর বাবু শুধু অশ্বথ ও বটগাছ নয়, প্রায় একশটি প্রজাতির গাছ বনসাই করে সংরক্ষণ করছেন।
advertisement
বনসাই বর্ষাকালে কীভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে শেখ জাহাঙ্গীর জানান, ‘বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে গাছে ফাঙ্গাস জন্মায়, সেই দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে গাছের গোড়া পচন রোগ ধরে। এই সময় গাছের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এছাড়াও বাগানের ড্রেন ব্যবস্থা উন্নত রাখতে হবে যাতে জল না জমে যায়। তাছাড়াও, সারা বছর যেভাবে পরিচর্যা হয় সেই পরিচর্যা চলবে বনসাইয়ের’। বনসাই একটি শিল্প মাধ্যম। যার দ্বারা শক্ত কাণ্ড যুক্ত গাছকে টবে বা অন্য পাত্রে লাগানো যায়। বনসাই এর বিভিন্ন কৌশল আছে। বনসাই পদ্ধতিতে বিলুপ্তপ্রায় গাছের সংরক্ষণ সহজেই করা যায়। লুপ্তপ্রায় কোনও গাছকে বনসাইয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। পরবর্তীতে সেই গাছ আবারও ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বর্তমানে বনসাই এর চাহিদা প্রচুর। বর্তমান সময়ে বনসাই গাছের চাহিদা দেশ বিদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে একদিকে বিলুপ্তপ্রায় গাছের সংরক্ষণে বনসাইয়ের গুরুত্ব রয়েছে। অন্যদিকে বাজারে বনসাই গাছের চাহিদা বাড়ছে। ফলে কোনও ব্যক্তি যদি বনসাই গাছের ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়। সব মিলিয়ে পরিবেশ ও ব্যবসায়িক দিকের কারণে বনসাই-এর প্রতি বর্তমান প্রজন্ম আগ্রহ দেখাচ্ছে।





