স্থানীয় সূত্রে ও পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির দরজা দীর্ঘক্ষণ না খোলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢোকে। দেখা যায়, বিছানায় নিথর পড়ে রয়েছেন যুথিকা দেবী। পাশেই অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পুষান। একই ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁদের তিনটি পোষ্য কুকুরকেও।
advertisement
মাছ তো নয়, ‘মহৌষধ’! ভিটামিন D ভরপুর… খেলেই গলবে মেদ! সুগার, প্রেশার, অবসাদ নিমেষে উধাও!
ফ্লাইটে একেবারেই নিষিদ্ধ! পাইলট ও এয়ারহোস্টেসরা করতে পারেন না কোনও দিন! কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে—ঘরে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল মা ও কুকুরদের। এরপর নিজের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পুষান। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তিনি এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
জানা গিয়েছে, যুথিকা ও পুষান দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। তাঁদের বাড়িটি বন্ধক রাখা ছিল একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। পুষান আত্মহত্যার আগে তাঁর এক বন্ধুকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে আত্মঘাতী নোট পাঠান, যেখানে তিন-চারজনের নামও উল্লেখ করেন, যাঁরা তাঁকে এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছেন বলে দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি আত্মহত্যার প্রচেষ্টা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর নোট ও আর্থিক নথি খতিয়ে দেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে।