দাসপুরের তাতার খাঁ গ্রামের গৃহবধূ রানু। ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে মৃৎশিল্পের কাজে হাত লাগাতেন তিনি। কাদামাটির গন্ধ, বাবার পাশে বসে দেবদেবীর প্রতিমা গড়ার দৃশ্য এসবই তার শৈশবকে অন্যরকম রঙ দিয়েছিল। তখনই জন্ম নেয় প্রতিমা গড়ার নেশা। সেই নেশাই আজ তার জীবিকার হাতিয়ার। রানুর হাতে গড়া প্রতিমা এখন শুধু শিল্প নয়, সংসারে আয়েরও বড় ভরসা।
advertisement
আরও পড়ুন : পঞ্চকোট রাজপরিবারের গোপন দলিল, ছবি আর কাহিনী একত্রে! রাজবংশের বই যাচ্ছে লন্ডন পর্যন্ত
সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক, বিশ্বকর্মা বছরের প্রায় সব পুজো পার্বণের জন্য তিনি প্রতিমা তৈরি করেন। স্বামীর আয়ের পাশাপাশি রানুর এই আয়েই সংসার চলে ভালভাবে। রানুর প্রতিমায় এক ধরনের আলাদা টান আছে। তার সূক্ষ্ম কারুকাজ ও নিপুণ হাতের ছোঁয়া প্রতিটি প্রতিমাকে জীবন্ত করে তোলে। তাই আশপাশের গ্রাম থেকেও বরাত আসে রানুর কাছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রানু নিজেই বললেন, প্রতিমা গড়া আমার কাছে শুধু পেশা নয়, এটা ভালবাসা। ছোটবেলা থেকে এই মাটির কাজকে আমি বুকে লালন করেছি। এখন এই কাজই আমার পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রানুর এই সাফল্যের গল্প আজ অনেক নারীর কাছে অনুপ্রেরণা। মনের টান আর শ্রম দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, মাটির স্পর্শ থেকেও জীবনের নতুন আলো জ্বালানো যায়।