পুলিশ সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের এক হোমগার্ড শেখ বাবুলাল (৩৫) তাঁর এক আত্মীয়াকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলেন। ওই বিভাগে তখন ডিউটি করছিলেন এক মহিলা জুনিয়র ডাক্তার। ওই চিকিৎসক যখন হোমগার্ডের আত্মীয়াকে পরীক্ষার পর রেস্ট রুমে বসেছিলেন, সেই সময় তিনি দলবল নিয়ে ডাক্তারের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘বিড়ি জ্বালাইলে…’ এবার দিওয়ালির বাজারে সুপার হিট বিড়ি বাজি! ছোট প্যাকেটে বড় ধামাকা
আরও অভিযোগ, নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে মহিলা ডাক্তারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি তাঁর হাত মুচকে দেন, ঘাড়ে ঘুষি মারেন অভিযুক্ত। রাস্তায় বেরোলে তাঁকে ধর্ষণ করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই চিকিৎসক। তখন ওয়ার্ডের মধ্যে অন্যান্য নার্স এবং আয়ারা ছুটে এসে ডাক্তারকে নিগ্রহের হাত থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই মহিলা ডাক্তার।
এরপর রাতেই নিগৃহীতা উলুবেড়িয়া থানায় গিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, যখন তাঁকে নিগ্রহ করা হচ্ছিল সেই সময় ওয়ার্ডের আশেপাশে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। ফলে তাঁদের হামলা করতে সুবিধা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই হোমগার্ড সহ দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানিয়েছেন, দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।